২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আরপিও সংশোধন ছাড়া ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ নেই : ইসি সচিব

-

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য আরপিও সংশোধন করতে হবে। আইনগত বাধা না থাকায় প্রতিটি স্থানীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করবে। গতকাল দুপুরে নির্বাচন ভবনে হেলালুদ্দীন আহম্মেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ইসি সচিব বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সব জায়গায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই হিসাবে আমরা নির্বাচনকে আরো অধিক গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও সফলভাবে সম্পাদন করার জন্য প্রযুক্তিটি ব্যবহার করতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে রংপুরের একটি কেন্দ্রে, খুলনায় দু’টি কেন্দ্রে, গাজীপুরে ছয়টি কেন্দ্রে এ প্রযুক্তির ব্যবহারে সফলতা পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, আগামী ৩০ জুলাই তিন সিটি নির্বাচনের মধ্যে বরিশালের ১০টি কেন্দ্রে, রাজশাহীর দু’টি কেন্দ্রে ও সিলেটের দু’টি কেন্দ্রে আমরা ইভিএম ব্যবহার করব। এ ছাড়া কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করব।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী দিনগুলোতে যত ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে সেখানে আমরা ইভিএম ব্যবহার করব। যদি এখানে আমরা কার্যকর ফলাফল পাই তাহলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কিছু কিছু কেন্দ্রে আমাদের ইভিএম ব্যবহার করার চিন্তা থাকবে। তবে ব্যবহার করা হবে কি হবে না এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। ইভিএম ব্যবহার করার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তারপর রাজনৈতিক দলগুলোর সাথেও মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত আছে। এ ছাড়া আরপিও সংশোধনীর বিষয় তো আছেই। সব কিছু মাথায় রেখেই কিন্তু নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসি সচিব জানান, ইভিএমকে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত করার জন্য দশটি অঞ্চলে মেলা করার চিন্তা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বরিশাল অঞ্চলে একটি মেলা করা হয়েছে, সেখানে কিন্তু বেশ সাড়া পাওয়া গেছে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবেও একটি মেলা করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি জেলায় দু’টি করে ইভিএম মেশিন পাঠানোর পরিকল্পনা আছে।
ইসি সচিব আরো জানান, একটি ইভিএম ব্যবহারে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। শুধু মেশিন নয় এর সাথে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিসহ নানা বিষয় যুক্ত থাকে। প্রচলিত পদ্ধতি নাকি ইভিএম প্রযুক্তি কোনটি ব্যয়সাপে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, যত ব্যালটপেপার কম ব্যবহার করে প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে তত ব্যয় কমে আসবে। আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আরপিওর বিষয়ে কোনো সংশোধনীর পরিকল্পনা নেই ইসির। তবে একটি পরিকল্পনা রয়েছে তা হলো অধ্যাদেশটি ইংরেজি রয়েছে তা বাংলাতেও করার। ইংরেজি ও বাংলা দু’টিতেই থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement