২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অর্থসচিব মুসলিম চৌধুরীকে সিএজি হিসেবে নিয়োগদান

-

অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীকে প্রশাসনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ বলে বিবেচিত সিএসজি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বর্তমানে অর্থসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন মুসলিম চৌধুরী। তিনি গত এপ্রিলে অবসরে যাওয়া সিএজি মাসুদ আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।
গতকাল সিএজি (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল) পদে নিয়োগের একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বল হয়, সংবিধানের ১২৭(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত মতাবলে মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি মহা হিসাব নিরীক ও নিয়ন্ত্রক পদে অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীকে নিয়োগ প্রদান করেছেন। এতে আরো বলা হয় শপথ গ্রহণের পর থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে। প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নেয়ার পর সাংবিধানিক এই পদে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন মুসলিম চৌধুরী।
মুসলিম চৌধুরী ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্যের বাকিংহাম ইউনিভার্সিটি থেকে ফাইন্যান্স ও অ্যাকাউন্টিংয়ে ডিস্টিংশনসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ২০০৫ সালের ২১ এপ্রিল সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। বিসিএস (নিরীা ও হিসাব) ক্যাডারের বিভিন্ন পদে এবং অর্থ বিভাগে উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কার্যক্রমে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে ওই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে দতার সাথে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি সরকারি প্রশাসন ডিজিটালাইজেশনে ভূমিকা রেখেছেন। একই সাথে বিভিন্ন ধরনের ই-চালান প্রচলনেরও তিনি পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সরকারি অবসরভোগী পেনশন প্রাপ্তি সহজকরণেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কার্যক্রমে বিশেষ অবদানের জন্য মুসলিম চৌধুরী ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে জনপ্রশাসন পদক গ্রহণ করেন। আগামী ২৩ অক্টোবর তার সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের কথা ছিল।
সূত্র জানায়, সংবিধানের ১২৭ নং অনুচ্ছেদের বিধান মতে মহাহিসাব নিরীক ও নিয়ন্ত্রক এর পদ সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ওপর উক্ত পদে নিয়োগের মতা অর্পিত হয়েছে। সংবিধানের ১২৭(১) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী মহাহিসাব নিরীক ও নিয়ন্ত্রক তার দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ হতে ৫ বছর বা ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যা আগে ঘটে সে পর্যন্ত তিনি তার পদে বহাল থাকবেন।
মহা হিসাব নিরীক ও নিয়ন্ত্রক হিসেবে কর্মরত মাসুদ আহমেদের চাকরির মেয়াদ গত ২৭ এপ্রিল পূর্ণ হয়েছে। তাই গত ২৮ এপ্রিল থেকে বর্ণিত পদটি শূন্য রয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এ সাংবিধানিক পদে একজন উপয্ক্তু প্রার্থীকে জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া আবশ্যক। মহাহিসাব নিরীক ও নিয়ন্ত্রক পদের যোগ্যতা সম্পর্কে সংবিধান বা আইনে কোনো স্পষ্ট বিধান নেই। তবে এ পদে নিয়োগের েেত্র সাধারণত সচিব পদে কর্মরত বিসিএস (নিরীা ও হিসাব) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১১ জন মহাহিসাব নিরীক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই বিসিএস (নিরীা ও হিসাব) ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement