২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রতিহিংসার রাজনীতি বাদ দিয়ে রাজবন্দীদের মুক্তি দিন : মহানগর জামায়াত

-

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ঈদ মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় জমায়েত এবং আনন্দঘন উৎসব। কিন্তু সরকারের দায়িত্বহীনতা ও হঠকারিতার কারণেই এবারের ঈদ আমাদের জন্য পুরোপুরি উৎসবমুখর হয়ে ওঠেনি। তাই ঈদকে অর্থবহ করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ ও জুলুমবাজ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে। তিনি সরকারের জুলুম-নির্যাতন মোকাবেলায় ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সব শ্রেণী ও পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
গতকাল রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের রমনা পূর্ব থানা আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। থানা আমির অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি খন্দকার রুহুল আমীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান, মাওলানা জাহাঙ্গীর হোসাইন, ডা: আবুল হাসেম মুন্সী ও তবিবুর রহমান টিপু প্রমুখ।
ড. এম আর করিম বলেন, দীর্ঘ একমাস সিয়াম ও কিয়াম সাধনার পর আমরা ঈদ সম্মিলনে মিলিত হলাম। কিন্তু নির্যাতিত, নিপীড়িত, অধিকার বঞ্চিত ও স্বজনহারা মানুষে আকুতি ও আহাজারিতে ঈদের আনন্দ অনেকটাই ম্লান। দেশ ও জাতি যখন ঈদের আনন্দে উদ্বেলিত হওয়ার কথা তখন সারা দেশে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর চলছে জুলুম-নির্যাতন। এমনকি ইফতার মাহফিলের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও তারা ন্যক্কারজনকভাবে বাধা প্রধান করেছে। বিজ্ঞপ্তি।
বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাদের জিঘাংসা ও প্রতিহিংসা থেকে রেহাই পাননি বয়োবৃদ্ধ আমিরে জামায়াত মকবুল আহমাদ এবং তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তারা উভয়েই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগলেও সরকার প্রতিহিংসাবশত তাদের চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে আমিরে জামায়াত মকবুল আহমাদসহ সব রাজবন্দীকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় গণরোষের মুখে সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement