বগুড়ায় পরিবহন ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য
- আবুল কালাম আজাদ বগুড়া অফিস
- ২২ জুন ২০১৮, ০০:০০
বগুড়া থেকে ঢাকাসহ দেশের সব রুটের পরিবহন ভাড়া আদায় নিয়ে নৈরাজ্যকর অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতি বছর দুই ঈদের আগে ও পরে পরিবহন সেক্টরে যাত্রীদের কাছ থেকে সিটপ্রতি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়। তবে এবার বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।
বগুড়ার বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার ঘুরে জানা গেছে, বগুড়া থেকে ঢাকা রুটের নন এসি বাসের সিট ভাড়া ১০০ থেকে ২০০ টাকা এবং এসি বাসের টিকিটের মূল্য ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বগুড়া থেকে ঢাকাগামী এস আর বাসের নন এসি প্রতিটি সিটের ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা। কিন্তু আদায় করছে ৪৫০ টাকা করে। এ ছাড়া শাহ ফতেহ আলী, শ্যামলী, হানিফসহ অন্যান্য পরিবহনও বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
যাত্রীদের অভিযোগ রয়েছে টিকিটের গায়ে ৪৫০ টাকা লিখলেও কিছু বাস কাউন্টার নিচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে। আর এসি বাসের টিকিট ঈদের আগে ৭০০ টাকা থাকলেও ঈদের পর টিকিটের দাম নিচ্ছে ১২০০ টাকা। হুন্দাই বাসের টিকিট ঈদের আগে ছিল ১০০০ টাকা। সেই বাসের টিকিট এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা করে। ঈদের নাম করে এই বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীরা বলছেন, ভাড়া বেশি নেয়া হলেও বাসে সেবার মান বাড়েনি। এ ছাড়া ফিটনেসবিহীন বাসও ভাড়া বাড়িয়ে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছে জনপ্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। যাত্রীদের অভিযোগ কাউন্টারে গেলে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। আবার বাড়তি টাকা দিলে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে ২৭ পর্যন্ত কোনো টিকিট নেই।
এ দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সব রুটের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে জনসচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া, চারমাথা বাস টার্মিনাল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: জহুরুল ইসলাম বলেন, যারা অতিরিক্ত এবং কালো বাজারে টিকিট বিক্রির চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকার মিরপুরের একটি গার্মেন্টের শ্রমিক আলতাফ হোসেন জানান, কাউন্টারে কোনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। তারা টিকিট দিচ্ছে না। আবার টিকিট দিলেও গায়ে লিখছে ৪৫০ টাকা আর দাম নিচ্ছে ৫০০ টাকা করে।
বেসরকারি একটি ইলেকট্রনিকস দোকানের কর্মী শরিফুল ইসলাম ঈদের ছুটি শেষে কর্মে ফিরছেন। তিনি কাউন্টারে গিয়ে কোনো টিকিট চেয়ে পাননি। পরে ৬০০ টাকা দিয়ে ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি টিকিট কেটেছেন।
বগুড়ার মানিক এক্সপ্রেসের কর্মকর্তা হাজি শহিদুল ইসলাম জানান, তাদের কাউন্টারে ঢাকাগামী টিকিট রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এসি বাসের চাহিদা বেড়েছে। যাত্রীদের চাপ রয়েছে। টিকিটের দাম কিছু বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৬ জুন থেকে আগের মূল্যেই টিকিট বিক্রি করা হবে।
এ দিকে গতকাল দুপুর থেকে শাহ ফতেহ আলী, এসআর, হানিফ, শ্যামলীর কাউন্টারে কোনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে অতিরিক্ত টাকা দিলে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা