২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বড়কাটারা মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলা

প্রিন্সিপালসহ আহত ১০
-

জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম বড়কাটারা মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। জানা গেছে, ঈদের দিন শনিবার রাত ৯টায় মাদরাসার মসজিদে এশার নামাজ চলাকালীন ওয়াকফ এস্টেট কর্তৃক বরখাস্তকৃত মাদরাসার সাবেক মুতাওয়াল্লি মৌলভী রশিদ আহমদ ও তার ছেলে শরীফের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী গ্রুপ এই হামলা চালায়।
এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন বড়কাটারা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি সাইফুল ইসলাম। মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আযহারুল ইসলাম, মাওলানা হেমায়েতুল্লাহ, ছাত্র ইমরান, কাউসার, আনাছ আহমদ, তানজীমসহ ৮-১০ ছাত্র, প্রহরী আবদুল মান্নান ও কয়েকজন মহল্লাবাসী আহত হন।
হামলায় আহত মাদরাসার হেদায়েতুন্নাহু জামাতের ছাত্র কাউসার জানান, রাত ৯টায় প্রায় ৪০-৪৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল মাদরাসায় অতর্কিতে প্রবেশ করে প্রথমেই দায়িত্বরত দারোয়ান আবদুল মান্নানকে মারধর করে বাইরে বের করে দিয়ে ভেতরে গেটে লাগিয়ে মাদরাসা দখল করে নেয়। পরে তাকেসহ মাদরাসায় অবস্থানরত ছাত্র-শিক্ষকদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একটি দল মসজিদে আর অন্যরা কক্ষে কক্ষে গিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের খুঁজতে থাকে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এ খবর মহল্লায় ছড়িয়ে পড়লে মহল্লাবাসী ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকেরা সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসীদের রুখে দাঁড়ায়। জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয় হামলার মূল হোতা রশিদ ও তার ছেলে শরীফসহ বেশ কয়েকজন হামলাকারী। ধৃতদের মারধর শেষে জনতা চকবাজার থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ঈদের সময় এই ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাদরাসার মুতাওয়াল্লি মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী। তিনি বলেন, হামলাকারীরা মাদরাসা অফিসে প্রবেশ করে ক্যাশবাক্স ভেঙে জাকাত ফান্ডের ২০ লাখ টাকাসহ মোট ২১ লাখ ৫২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এ ছাড়াও ছাত্র-শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ও জরুরি কাগজপত্রও নিছিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ, শঙ্কিত। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।


আরো সংবাদ



premium cement