২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিলেট ও চট্টগ্রামে স্কুলছাত্র ও কিশোর খুন

-

সিলেটে ঈদের রাতে বন্ধুদের হাতে এক স্কুল ছাত্র এবং চট্টগ্রামে রোববার সকালে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক কিশোরসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেট নগরীর শিবগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাতে বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে মশিউর রহমান তাহমিন নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। তাহমিন এ বছর স্কলার্সহোম স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছে। সে শিবগঞ্জ সোনার পাড়ার মুজিবুর রহমানের ছেলে। তার বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দণি এলাকায়। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট। ঈদের পরদিন রোববার রাতে তাহমিন হত্যার ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখ করে শাহপরান থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদি তাহমিনের বাবা মুজিবুর রহমান। শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন জানান, রোববার রাতেই কয়েস আহমদ নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েস আহমদ বর্তমানে সিলেট বসবাস করলেও সে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বাসিন্দা। এর আগে তাহমিন হত্যার পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাফাত হোসেন নামে নিহতের এক বন্ধুকে হেফাজতে নেয় শাহপরান থানা পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন বন্ধু তাহমিনকে বাসা থেকে ডেকে নেয়। রাত ১০টার দিকে শিবগঞ্জ মিতালি ফার্মাসির উল্টো দিকের গলির ভেতরে কয়েকজন মিলে তার গলা ও গালে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তাহমিন দৌড়ে মিতালি ফার্মাসির সামনে এসে পড়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম নগরীতে ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সুমন (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। নগরীর হালিশহর থানাধীন আর্টিলারি রোডে এ ঘটনা ঘটে।
হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বদরুল কবীর নয়া দিগন্তকে জানান, রোববার মধ্যরাতে হালিশহরে বিডিআর হল থেকে ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা দেখে বের হয় সুমন ও তার আরো তিন বন্ধু। তারা হেঁটে আজিজ মিয়া মসজিদের পেছনে যাওয়ার পর আট থেকে ১০ জন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। এ সময় সুমনের কাছ থেকে তারা মোবাইল কেড়ে নেয়। সুমন ও তার বন্ধু নূরুল আলম বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাদের ছুরিকাঘাত করে। সুমনকে উরুতে ও নুরুল আলমকে পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়। সুমনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হালিশহর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জমির উদ্দিন জানান, সুমন ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার মৃত হেদায়েত উল্লাহর ছেলে। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার চৌচালা এলাকায় তার বাসা। সেখানেই একটি গাড়ির গ্যারেজে সুমন কাজ করতেন।
এ ঘটনায় সুমনের ভাই বাদি হয়ে হালিশহর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। তবে গতকাল সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।


আরো সংবাদ



premium cement