২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কলাপাড়ায় টর্নেডোর আঘাতে ১৩৮টি পরিবারের ঈদ আনন্দ উবে গেছে

-

মাত্র দেড় মিনিট স্থায়ী টর্নেডোতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরশহরের হুসেনাপাড়া ও পাঞ্জুপাড়া এলাকার অন্তত অর্ধশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় এবং বহু গাছপালা উপড়ে পড়ে ঈদ আনন্দ মাটিতে মিশে গেছে ১৩৮টি পরিবারের। তিগ্রস্ত এসব পরিবারের এখন মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নেই। মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে এসব পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জানা গেছে গেল ১০ জুন রোব ও সোমবার পর্যটননগরী কুয়াকাটার দু’টি গ্রাম, রাঙ্গাবালী উপজেলার চারটি গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডোতে লণ্ডভণ্ড ও তছনছ করে দিয়েছে ওইসব পরিবারের সাজানো সংসার। দেখা দিয়েছে খাদ্য, বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানিরও তীব্র সঙ্কট। এর ফলে তিগ্রস্ত এসব পরিবারের ভাগ্যে এবারের ঈদের আনন্দ মলিন হয়ে গেছে।
টর্নেডোতে তিগ্রস্ত পরিবারগুলো যাতে দ্রুত একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই পান এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সবাই।
চলতি মওসুমে প্রথম দফা টর্নেডো আঘাত হানে পর্যটননগরী কুয়াকাটায়। দেড় মিনিটের স্থায়ী টর্নেডোতে কুয়াকাটা পৌরশহরের হুসেনাপাড়া ও পাঞ্জুপাড়া এলাকার অন্তত অর্ধশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় এবং বহু গাছপালা ভেঙে পড়ে। আহত হন অন্তত ১০ জন। এর পরদিনই ১১ জুন রাত সাড়ে ৯টায় টর্নেডো আঘাত হানে রাঙ্গাবালী উপজেলায়। ঠিক একই দিন রাত ৯টায় টর্নেডো আঘাত হানে রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চতলাখালী, তিল্লা ও নয়াভাঙ্গুনি এবং বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ফেলাবুনিয়া গ্রামেও।
মাত্র দুই মিনিট স্থায়ী টর্নেডোর আঘাতে এসব গ্রাম তছনছ হয়ে যায়। এর ফলে তিগ্রস্ত গ্রামগুলোর লোকজন পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিগ্রস্তদের কেউ কেউ বর্তমানে খোলা আকাশের নিচেও রয়েছেন।
কুয়াকাটা হুসেনাপাড়া গ্রামের তিগ্রস্ত পারভীন বেগম বলেন, ‘টর্নেডোতে ঘরবাড়ি হারাইয়া মোরা অ্যাহোন নিঃস্ব হইয়া গ্যাছি। থাল-বাসুন, চাউল-পাতি কিছুই নাই, হগোল বাতাসে উড়িয়ে লইয়া গ্যাছে। মোগো এখন মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নাই। পোলাপান লইয়া এবার ঈদের আনন্দও কপালে সইলো না’।
কুয়াকাটা পৌরসভার কাউন্সিলর তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, টর্নেডোর আঘাতের দৃশ্যগুলো খুবই মর্মান্তিক। ঘরগুলো উড়িয়ে নিয়ে অন্য জায়গায় ফেলে দিয়েছে, যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। সব হারিয়ে এসব লোকজন অসহায়ের মতো দিন কাটাচ্ছেন। তিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো উচিত আমাদের সবার।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, আমাদের সাধ্য অনুযায়ী টর্নেডোতে তিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পৌরসভার প থেকে কিছু সহযোগিতা করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement