২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মোবাইল ফোনের সাতকাহন

মোবাইল ফোন - ছবি : সংগ্রহ

টেলিফোন আবিষ্কারের পর থেকেই তারবিহীন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার কথা গবেষক, বিজ্ঞানীরা ভাবতে শুরু করেন। তবে আমরা এত দীর্ঘ ইতিহাসের দিকে না যেয়ে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ থেকে শুরু করব। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় অর্থাৎ ১৯৪০ সালে মিলিটারিরা রেডিও টেলিফোন ব্যবহার করে। এই রেডিও টেলিফোন ব্যবস্থার আবিষ্কারক ছিলেন রেজিনালদ ফেসেন্দেন। তারপর ১৯৪৬ সালে প্রথম কল করা হয় একটি গাড়ি থেকে।

১৯৪৬ সালের ১৭ জুন মিসৌরির লাওস থেকে বেল টেলিফোন সার্ভিসের আওতায় প্রথম কল করা হয়। তারপর ১৯৪৬ সালের ২ অক্টোবর শিকাগো শহর থেকে পূর্বের পথ অনুসরণ করে এলিওন বেল টেলিফোন কোম্পানির মাধ্যমে আবার টেলিফোন কল করেন। এই টেলিফোনটি ছিল ভ্যাকুয়াম টিউবে তৈরি। এটার ওজন ছিল প্রায় ৩৬ কেজি অর্থাৎ ৮০ পাউন্ড। প্রথমে মেট্রো পলিট্রন এলাকার সকল ব্যবহারকারীর জন্য শুধুমাত্র একটা চ্যানেলই বরাদ্দ ছিল। পরে ৩টি ব্যান্ডের আয়তায় ৩২টি চানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। এই ব্যবস্থায় যোগাযোগ চলছিল ১৯৮০ সাল পর্যন্ত। এর মধ্যে ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিখ্যাত মটরোলা কোম্পানির প্রধান জন মিচেল পোর্টেবল যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে নজর দেন যার মাধ্যমে মুঠোফোন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করে। মিচেল তারবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে হাত বাড়ান, যা যেকোনো জায়গায় থেকে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। মিচেলের এই কাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন মটোরোলার গবেষক ও নির্বাহী মার্টিন কুপার। এই মার্টিন কুপার প্রথম সেলুলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সর্বপ্রথম মুঠোফোন আবিষ্কার করে বিজ্ঞানের ইতিহাসে নিজের নামটা স্বর্ণাঅক্ষরে লিপিবদ্ধ করেন। প্রথম মুঠোফোনটির ওজন ছিল ২.৫ পাউন্ড। এর দৈর্ঘ্য ছিল ৯ ইঞ্চি, প্রস্থ ১,৭৫ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৫ ইঞ্চি।

মোবাইল ফোন আসলে কী?
বর্তমান যুগ হচ্ছে মোবাইলের যুগ। প্রায় সবার হাতে হাতেই দেখা যায় স্মার্টফোন। এই স্মার্টফোন দিয়ে আমরা কত কিছুই না করি। কিন্তু আমরা কি জানি কীভাবে এই মোবাইল ফোন এসেছে? মোবাইল ফোন, সেলুলার ফোন, হ্যান্ড ফোন বা মুঠোফোন তারবিহীন টেলিফোন বিশেষ। মোবাইল অর্থ ভ্রাম্যমান বা ‘স্থানান্তরযোগ্য’। এই ফোন সহজে যেকোনো স্থানে বহন করা এবং ব্যবহার করা যায় বলে মোবাইল ফোন নামকরণ করা হয়েছে।

বিশ্বের সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কার হয় ১৯১৭ সালে। এটি আবিষ্কার করেন ফিনিশ আবিষ্কারক এরিক টাইগারস্টেডট।

আমরা আমাদের দৈনন্দিন কত কাজেই না মোবাইল ফোন ব্যবহার করি। কিন্তু কখনো ভেবেছি যে কীভাবে এই মোবাইল ফোন কাজ করে।

আমরা আমাদের আশেপাশে তাকালেই দেখতে পাই বিভিন্ন ধরনের মোবাইল টাওয়ার। মোবাইল কোম্পানিগুলো মূলত এই টাওয়ারগুলোর মাধ্যমেই আমাদের সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমরা যখন কাউকে কল করতে চাই তখন তার নাম্বার মোবাইলে ডায়াল করে কল বাটন চাপলে আমাদের মোবাইল মূলত এই টাওয়ারগুলোর সাথে যোগাযোগ করে এবং তাদের জানান দেয় যে আমার এই নম্বারে সংযোগ দরকার। তখন ওই মোবাইল টাওয়ার অন্য মোবাইল টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের ডায়ালকৃত লোকটিকে খুঁজে বের করে। আমাদের দরকারি লোকটাকে খুঁজে পেলে টাওয়ার তখন আমার মোবাইল এবং ওই লোকটির মোবাইলের মধ্য একটা সংযোগ স্থাপন করে যাতে আমরা একে অপরের সাথে কথা বলত পারি। এই সমস্ত কাজ টাওয়ার করে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। যার কারণে আমরা বুঝতে পারি না এর মধ্যে কত কাজ ঘটে যায়।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের সতর্কতা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কারণে আমাদের ছোটো বড় প্রত্যেকের হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে। কিন্তু এই মোবাইল ফোন ব্যবহারে আমরা অনেকেই সচেতন নই। আমরা অনেকেই জানি না কীভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হয়। অথচ সতর্ক না হলে এই ফোনের মাধ্যমেই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যহত হতে পারে। হারিয়ে যেতে পারে অনেক জরুরী ফাইল-পত্র। তাই মোবাইল ফোন শুধু ব্যবহার করলেই হবে না সঠিকভাবে ব্যবহারের কৌশল জানতে হবে।

নিচে এমনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম এবং সতর্কতা উল্লেখ করা হলো :

 চার্জ চলাকালীন কথা না বলা : আমাদের অনেককেই দেখা যায় মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে কথা বলতে থাকি। আবার অনেকেই চার্জারের লাইন মোবাইল ফোন লাগিয়ে দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে ফেসবুক ব্যবহার করতে থাকি। এটি মোটেও উচিত নয়। মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের অন্যতম কারণ এটি।

 অব্যবহৃত অ্যাপস আনইন্সটল করে দিন : আজকাল মোবাইল ফোনের অ্যাপস ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। সেই সুবাদে আমরা সবাই মোবাইলে ইচ্ছা মতো অ্যাপস ইন্সটল করে রাখি। যার মধ্যে কিছু কিছু দরকারি, বাকিগুলো বিনা কারণেই রাখি। এতে করে আমাদের ব্যাটারির চার্জ খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায়। এই কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

 কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনটিকে বাম কানে ধরা উচিত। ডান পাশে আছে আমাদের মস্তিষ্কের অনেক স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণার কারণে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য ডান কান ব্যবহার করতে মানা করেছেন।

 মোবাইলের সিগন্যাল বারে হাত না রাখা : আমরা অনেকেই কথা বলার সময় অভ্যাসগত কারণে একটা আক্সগুল সিগন্যাল বারের উপরে রাখি। সাধারণত মোবাইল ফোনগুলোর পিছনের দিকে উপরের অংশে সিগন্যালবার অবস্থান করে। আমরা কথা বলার সময় ওই অংশে হাত রাখি, যা আমাদের সিগন্যাল বারকে ক্রমশ দুর্বল করে তুলে।

 অতিরিক্ত চার্জ না দেয়া : মোবাইল ফোনের ব্যাপারে এই টিপসটি অনেক পুরানো। আমরা অনেকেই ফোনের চার্জ ফুল হয়ে যাওয়ার পরও অতিরিক্ত চার্জের আসাতে সেটি চার্জে লাগিয়ে রাখি। কিন্তু এটি মোটেও ফলপ্রসূ হয় না। উল্টা ব্যাটারির জীবনকাল শেষ করার জন্য এই একটি কাজই যথেষ্ট।

 নিম্নমানের এক্সেসরিজ ব্যবহার না করা : আমরা অনেকেই টাকা বাঁচানোর জন্য কম মানের ব্যাটারি, হেডফোন, চার্জার ব্যবহার করি। কিন্তু এটি যে আমাদের মোবাইল ফোনটিকে ক্রমশ বিনষ্ট করে দিচ্ছে সেটি আমরা একটু ভেবে দেখি না।

 ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা : স্মার্টফোনগুলোতে আমরা আজকাল অকেজো আপস ইন্সটল করে থাকি। যা অনেক সময় প্রচুর পরিমাণে জাংক তৈরি করে। তাই আমাদের উচিত ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা যা শুধু ভাইরাসের জন্য নয়, আমাদের মোবাইল ফোনকে সব রকম প্রযুক্তিগত দিক থেকে রক্ষা করবে।

মোবাইল ফোন ব্যবহারে আমাদের কী কী ক্ষতি করে :
মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কী ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে সে বিষয়গুলো আমাদের অবশ্যই জেনে নেয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যের ওপর নানা প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতি নিয়ে গবেষণাও হচ্ছে। নিচে এমনই কিছু ক্ষতির কারণ বর্ণনা করা হলো।

 হারানোর ভয়
মোবাইল সবসময় ঠিক জায়গায় আছে কিনা তা নিয়ে মন সবসময় সতর্ক থাকে। মোবাইল হারানো ভয় থেকে মনের মধ্যে জন্ম নেয় এক সমস্যা। গবেষকেরা মোবাইল ফোন হারানোর এই ভয়জনিত অসুখের নাম দিয়েছেন নোমোফোবিয়া। যার পুরো নামনো মোবাইল-ফোন ফোবিয়া। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ৫৩ শতাংশ এবং ২৯ শতাংশ ভারতীয় তরুণরা এ রোগের শিকার। ৫ বছর আগেও যে রোগের অস্তিত্ব কল্পিত ছিল না, আধুনিকতার সে রোগ নিয়ে দেশে-বিদেশে চিন্তিত মনোবিজ্ঞানী-মহল। অতিরিক্ত মোবাইল নির্ভরতা কমিয়ে ফেলতে পরামর্শ দেন গবেষকেরা।

 ঘুমের মধ্যে বার্তা পাঠানো
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অতিরিক্ত সময় বার্তা পাঠানো, চ্যাটিং করার ফলে ঘুমের মধ্যেও এর প্রভাব পড়তে পারে। হতে পারে স্লিপ টেক্সটিং সমস্যা। এ সমস্যা হলে রাতে ঘুমের মধ্যে কাকে কী বার্তা পাঠানো হয় তা আর পরে মনে থাকে না। বার্তা পাঠানোর বিষয়টি মাথায় থাকে বলে ঘুমের মধ্যেও হাতের কাছে থাকা মোবাইল থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত নম্বরে বার্তা চলে যায়। মনোবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দুশ্চিন্তা, কাজের চাপ আর মোবাইল নিয়ে অনেকের দিন কাটে। এমন অবস্থায় স্লিপ টেক্সটিং ঘটতে পারে। রাতে বিছানার পাশে মোবাইল না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।

 কমতে পারে চোখের জ্যোতি

যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণত চোখ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে তা ব্যবহার করতে হবে। তবে, অনেকের ক্ষেত্রে এ দূরত্ব মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার। সংবাদপত্র, বই বা কোনো কিছু পড়ার ক্ষেত্রে সাধারণত চোখ থেকে গড়ে ৪০ সেন্টিমিটার দূরত্ব থাকে। চোখের খুব কাছে রেখে অতিরিক্ত সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে জিনগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্ষীণদৃষ্টি সৃষ্টির জন্য যা ভূমিকা রাখতে সক্ষম। গবেষকেরা একে এপিজেনেটিকস সংক্রান্ত বিষয় বলেন। গবেষকেরা দীর্ঘক্ষণ ধরে স্মার্টফোনে চোখ না রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। দৈনিক কিছু সময় মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তারা। স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বয়স বিবেচনার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা।

 কানে কম শোনা
মোবাইল ব্যবহারের ফলে কানের সমস্যা তৈরির বিষয়টি অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চশব্দে গান শুনলে অন্তকর্ণের কোষগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক আচরণ করে। একসময় বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

 শরীরের অস্থি-সন্ধিগুলোর ক্ষতি
অতিরিক্ত সময় ধরে মেসেজ বা বার্তা টাইপ করা হলে আঙুলের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হতে পারে এবং অবস্থা বেশি খারাপ হলে আর্থরাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও অনেকেই কাজের সময় মোবাইল ব্যবহার করতে গিয়ে কাঁধ ও কানের মাঝে ফোন রেখে কথা বলেন। অনেকেই অতিরিক্ত ঝুঁকে বসে দীর্ঘ সময় ধরে বার্তা পাঠাতে থাকেন। বসার ভঙ্গির কারণেও শরীরে নানা অসুবিধা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ হচ্ছে অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইলে বার্তা লিখবেন না, এতে করে শরীরের জয়েন্ট বা সন্ধির সমস্যা থেকে সুস্থ থাকতে পারবেন।

 কমে যেতে পারে শুক্রাণু

গবেষকেরা জানান, মোবাইল থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এই ক্ষতিকর তরঙ্গের সঙ্গে মস্তিষ্কে ক্যানসারের যোগসূত্র থাকতে পারে। এ ছাড়া শরীরের অন্য কোষকলা এই ক্ষতিকর তরঙ্গের প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পুরুষের প্রজননতন্ত্রেরও। গবেষকেদের দাবি, মোবাইল থেকে নির্গত ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।

 যখন তখন রিং টোন!

এ সমস্যা মূলত উদ্বিগ্নতা বা বিষণ্নতা থেকে ঘটতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে ব্যবহারকারী ফোনের রিং না বাজলে কিংবা ভাইব্রেশন না হলেও হঠাৎ করেই তা শুনতে পান বা অনুভব করেন। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যার ভুগতে শুরু করলে তা টেরও পান না অনেক ব্যবহারকারী।

 ঘুম নেই!
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের অতিরিক্ত ব্যবহার ও অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখার ফলে সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা বা নিদ্রাহীনতা। যারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে এ ধরনের প্রযুক্তি-পণ্য অতিমাত্রায় ব্যবহার করেন তাদের শরীরে মেলাটোনিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে; যার কারণ প্রযুক্তিপণ্য থেকে নির্গত উজ্জ্বল আলো। একপর্যায়ে ঘুমের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়, স্লিপ ডিজ অর্ডারের ঝুঁকি তৈরি হয়।


আরো সংবাদ



premium cement