১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নষ্ট মোবাইল বদলে টাকা

নষ্ট মোবাইল বদলে টাকা - সংগৃহীত

নষ্ট মোবাইল ফোন কী করবেন, ফেলবেন না রেখে দেবেন। এনিয়ে অনেকে বেশ চিন্তিত থাকেন। মোবাইল আমদানিকারকরা এর ব্যবস্থা করেছেন। নষ্ট মোবাইল ফেলে দিলে তার বিনিময়ে টাকা দেয়া হবে বিনিময়ে।

এটি এমন এক ধরণের জিনিস যা নষ্ট হয়ে গেলেও সহজে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলতেও খারাপ লাগে।

বাংলাদেশের মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা বলছেন, নষ্ট মোবাইল ফোন তাদের কাছে জমা দিলে টাকা পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব জানিয়েছেন, নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরৎ দিলে যাতে ফোনের মালিক কিছু টাকা পায়- সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সভাপতি বলছেন, একটি মোবাইল ফোন সেট গড়ে তিন বছরের বেশি ব্যবহার করা যায় না। ফলে তিন বছর পরে এটি ইলেকট্রনিক বর্জ্যে পরিণত হয়।

তিনি আরো বলেন, "বাংলাদেশের ১০০টি শপিং মল-এ আমাদের বুথ থাকবে, যেখানে নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে টাকা পাওয়া যাবে"।

খুব শীঘ্রই এ ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচ থেকে ১০টি শপিং মলে এ উদ্যোগ কার্যকর করা হবে। এরপর পুরো বাংলাদেশে সেটি চালু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় চার কোটি মোবাইল হ্যান্ড সেট নষ্ট হয়।

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় তিন কোটি হ্যান্ড সেট আমদানি করা হচ্ছে।

ফলে এখান থেকে যে ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে সেটি পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।

রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, যারা নষ্ট মোবাইল ফোন দিতে আসবে, তাদের যদি কিছু টাকা না দেয়া হয়, তাহলে বিষয়টিতে মানুষজনের আগ্রহ থাকবে না।

তবে কত টাকা দেয়া হবে সেটি নির্ধারিত হবে মোবাইল ফোনের অবস্থার উপর ভিত্তি করে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর বেশ দ্রুততার সাথে ইলেকট্রনিক বর্জ্য বাড়ছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের এক হিসেবে বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে চার লাখ টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটি ১২ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে।

মোবাইল ফোন ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলছেন, ইলেকট্রনিক বর্জ্যের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অবনতির দিকে যাচ্ছে।

এ দূষণ ঠেকানোর জন্যই নষ্ট মোবাইল ফোন সেট সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, এ উদ্যোগ সফলভাবে কার্যকর করা গেলে, নষ্ট ল্যাপটপ কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক বর্জ্য সংগ্রহের প্রবণতা গড়ে উঠবে।

নষ্ট মোবাইল ফোন সেট সংগ্রহ করে সেগুলো বিভিন্ন রিসাইক্লিং শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে সরবরাহ করা যাবে।

এসব ফোন সেটের বিভিন্ন উপাদান থেকে নানা রকমের জিনিস উৎপাদনের কাজে লাগতে পারে।

রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, "আমরা সম্পূর্ণ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজটি করছি। তবে এজন্য সরকার এবং রিসাইক্লিং শিল্পকে এগিয়ে আসতে হবে।"

"কারণ, নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরৎ দিয়ে মানুষ যদি কিছু টাকা না পায়, তাহলে তারা উৎসাহিত হবে না।"


আরো সংবাদ



premium cement
ইরানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকাসহ ৮০ লাখ টাকার মালামাল লুট প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় গাজায় মানবিক প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ : রাশিয়া পিকআপচালককে হত্যা করে রেললাইনে লাশ ফেল গেল দুর্বৃত্তরা এক মাস না যেতেই ভেঙে গেলো রাজকীয় বিয়ে! ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭ নোয়াখালীতে মেলায় সংর্ঘষ নিহত ১ কবরস্থান থেকে বৃদ্ধার বস্তাবন্দি লাশের রহস্য উন্মোচন : পুত্রবধূ ও নাতনি গ্রেফতার মিরসরাইয়ে বজ্রপাতে কৃষকের তিন গরুর মৃত্যু

সকল