১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

এন্ড্রু কিশোর আর নেই

- সংগৃহীত

প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর মারা গেছেন। নিজ শহর রাজশাহীতে একটি ক্লিনিকে আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংগীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ ও সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

এন্ড্রু কিশোরের শ্যালক ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাতটায় তিনি মারা গেছেন। এর বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। শোক সামলে উঠে আমরা গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাব।’

ব্লাড ক্যানসার নিয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ১১ জুন রাতে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন তিনি। পরেরদিন তিনি ঢাকা থেকে রাজশাহী চলে আসেন। এরপর থেকে তিনি তার বোন ডা. শিখার বাড়িতে রয়েছেন।

এন্ড্রু কিশোরের জন্ম রাজশাহীতে। সেখানেই কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর। এন্ড্রু কিশোর প্রাথমিকভাবে সংগীতের পাঠ শুরু করেন রাজশাহীর আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে। একসময় গানের নেশায় রাজধানীতে ছুটে আসেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, আধুনিক গান, লোকগান ও দেশাত্মবোধক গানে রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পী হন।

১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

এন্ড্রু কিশোরের খুব জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙ্গাল’ প্রভৃতি। এন্ড্রু কিশোর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


আরো সংবাদ



premium cement