২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতের নাগরিকত্ব পাচ্ছেন তসলিমা নাসরিন !

ভারতের নাগরিকত্ব পাচ্ছেন তসলিমা নাসরিন ! - ছবি : সংগৃহীত

তাহলে কি ভারতের নাগরিকত্ব পাচ্ছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন? এই প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর পাওয়া গেছে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কণ্ঠে। ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (এনআরসি) পক্ষে কথা বলতে গিয়ে তিনি তসলিমার কথা বলেন। তার মতে, নতুন এই আইন ধর্মীয় বিভাজনমূলক নয়, এটা বোঝাতে তসলিমা নাসরিনের উদাহরণ টানলেন ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তার বক্তব্য, আদনান সামি, তসলিমা সীতারমণদের উদাহরণ দেখলেই বোঝা যাবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টিকারী নয়।

সিএএ নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলছেন, ‘৩৯১ জন আফগান মুসলিম এবং ১৫৯৫ জন পাকিস্তানি শরণার্থী মুসলিম ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এই সময়ই ২০১৬ সালে আদনান সামিকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। আরও একটি উদাহরণ তসলিমা নাসরিন। শুধু এক বছরেই ২৮৩৮ জন পাকিস্তানি উদ্বাস্তু, ৯৪৮ জন আফগান এবং ১৭২ জন বাংলাদেশি উদ্বাস্তু ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ১৯৬৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ শ্রীলঙ্কার তামিল সম্প্রদায়ের মানুষ এদেশের নাগরিক হয়েছেন। এতেই বোঝা যায় আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভুল।’

নির্মলার মুখে তসলিমার নাম শোনা যাওয়ায়, অনেকেই মনে করছেন এবার লেখিকাকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দেয়ার কথা ভাবনা-চিন্তা করছে সরকার। ২০০৪ সাল থেকে দিল্লিতে রেসিডেন্স ভিসা নিয়ে বসবাস করছেন এই লেখিকা। উল্লেখ্য, প্রায় একই পরিস্থিতিতে পাক গায়ক আদনান সামিকে এদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। তাই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর তসলিমার নাগরিকত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায় না।

তাছাড়া লেখিকা নিজে এই আইনকে সমর্থন করেছেন। তসলিমার মতে, এই আইনটি উদার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, ‘শুনে ভাল লাগছে যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার মানুষেরা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। এটা খুব ভাল এবং উদার ভাবনা।’ পাশাপাশি তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেন, ‘যাঁরা আমার মতো উদারপন্থী মুসলিম, তাদের উপরও বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে নিপীড়ন হয়। তাদেরও ভারতে থাকার অধিকার পাওয়া উচিত।’ সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement