১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যে নেতারা কোনোদিন পচবেন না

- ছবি : সংগৃহীত

কমিউনিস্ট বা সাম্যবাদী নেতারা নিজেদের ভাবমূর্তি, এমনকি চেহারার বিষয়েও খুব সচেতন। তাই কয়েকজন নেতার চেহারা মৃত্যুর পরও যাতে অবিকৃত থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান মাও
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং ২০ শতকের খুব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। চীন পরাশক্তি হয়ে ওঠে তার হাত ধরেই। তবে সাত কোটি মানুষের মৃত্যুর জন্যও দায়ী করা হয় তাকে। মাও ১৯৭৬ সালে মারা যান। মৃত্যুর পরও অবিকৃত আছে তার চেহারা। বেইজিংয়ের এক রাজকীয় সমাধিতে ফর্মালডিহাইড দিয়ে সেভাবেই রাখা হয়েছে লাশ।

কিম ইল সাং
উত্তর কোরিয়ার প্রথম নেতা কিম ইল সাং-কে ইতিহাস মনে রাখবে দুই কোরিয়ার যুদ্ধ শুরু করার জন্য। উত্তর কোরিয়ায় কমিউনিস্ট শাসন শুরু করেন তিনি। তবে তাতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসেনি। সোভিয়েট ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে বিপর্যস্ত হয় উত্তর কোরিয়া। ১৯৯৪ সালে ৮২ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কিম ইল সাং। ১০ দিন জাতীয় শোক পালনের পর কুমসুসান প্যালেস অব সান-এ লাশ সংরক্ষণ করা হয়।

কিম জং ইল
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।২০১১ সালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। উত্তর কোরিয়ায় ‘চিরন্তন নেতা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই নেতার লাশও অবিকল রাখা আছে কুমসুসান প্যালেস অব সান-এ।

হো চি মিন
ভিয়েতনামের অবিসংবাদিত নেতা হো চি মিন-কে ইতিহাস মনে রাখবে খুব বড় দুটি কারণে। তার কারণেই ফরাসি শাসকেরা ভিয়েতনাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। দক্ষিণ ভিয়েতনাম ও মার্কিন সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে উত্তর ভিয়েতনামকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। যুদ্ধে জয় অবশ্য দেখে যেতে পারেননি, তার আগেই মৃত্যু হয় তার।

লেনিন
লেনিন ছিলেন সোভিয়েট ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অক্টোবর বিপ্লবের নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। অনেক ইতিহাসবিদ লেনিনকেও কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী মনে করেন। ১৯২৪ সালে মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর মগজ বের করে নিয়ে তার দেহ মস্কোর রেড স্কয়ারে সংরক্ষণ করা হয়। ডয়চে ভেলে।


আরো সংবাদ



premium cement