২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ক্যাসিনো থেকে দিনে ১২০ কোটি টাকা আসলেও রুগ্নতা কাটেনি ক্লাবগুলোর

- ছবি : সংগৃহীত

ক্লাবের আর্থিক ব্যায় মেটানোর জন্য ক্যাসিনো কোন মাধ্যম হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি বলেন, ক্লাবগুলো চাইলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সহায়তা করা হবে। এছাড়াও সত্যিকারের সংগঠকরা যাতে ক্লাবের পরিচলনা পর্ষদে আসতে পারে, এ জন্য আইনের সংশোধন প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

ক্লাব পাড়ায় কেন ক্যাসিনো? এমন প্রশ্নের বিপরীতে এক অদ্ভুত যুক্তি রয়েছে কর্মকর্তাদের। সেটা হলো ক্লাবের ব্যয় মেটানোসহ খেলোয়াড়দের কিনতে যে প্রচুর পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয় তার যোগান আসে সেখান থেকে। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।

অনুসন্ধান বলছে ঢাকার ক্যাসিনোগুলো থেকে ক্লাবগুলোর প্রতিদিন গড়ে আয় হতো ১২০ কোটি টাকা। অথচ যে দোহাই দিয়ে তারা অবৈধ এই ব্যবসা চালাতো সেখানে খরচ করতো না শিকি ভাগও। তাই বিপুল অর্থের মাঝেও রুগ্নভাব কাটেনি ক্লাবগুলোর।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, 'ক্লাব কিন্তু কখনও ক্যাসিনোর টাকা দিয়ে খেলাধুলা পরিচালনা করিনি। তারা কিন্তু স্পন্সর, উদ্যোক্তাদের থেকে সহযোগিতা নিয়েই কিন্তু ক্লাবগুলো চলেছে।'

বর্তমানে ডোনেশন নির্ভর একটা ক্লাব সংস্কৃতি চালু আছে আমাদের দেশে। যেখানে অর্থের বিনিময়ে যে কারোরই সুযোগ থাকে পরিচালনা পর্ষদে ঢুকে যাওয়ার। এই সুযোগেই অসাধুরা করছে সার্থ সিদ্ধি। আর এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই নীতিমালায় একটা পরিবর্তন আনতে চায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এ ব্যাপারে বলেন, 'সময় এসেছে আইন পরিবর্তনের পাশাপাশি যোগ্য ব্যক্তিদের ক্লাবগুলোর দায়িত্ব দেয়া।'

তবে জটিলতা আছে সেখানেও। কেননা বানিজ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে থাকায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের এখতিয়ার নেই ক্লাব কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করার। তাই সবার আগে আইনের সংশোধন আনা প্রয়োজন সেখানে।


আরো সংবাদ



premium cement