২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গুজব ছড়িয়েও ২ হাজার কোটি টাকা আয়!

- প্রতীকী ছবি

গুজব ছড়ায় এমন সাইটগুলোও বিজ্ঞাপন থেকে কোটি কোটি ডলার আয় করে। এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু আইন দিয়ে এসব সাইটকে ঠেকানো যাবে না, তার বদলে ব্যবসা কাঠামোটিই সংশোধন করতে হবে।

মানুষকে ধোঁকা দেয়া আর গুজব ছড়ানোর জন্য তৈরি, এমন ওয়েবসাইটগুলো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার আয় করে। বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো অজান্তেই তাদের সাইটে টাকা ঢেলে যাচ্ছে। গ্লোবাল ডিসইনফরমেশন ইনডেক্স (জিডিআই)-এর এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরণের ২০ হাজার ওয়েবসাইট বছরে সাড়ে ২৩ কোটি ডলার বা প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আয় করে।

জিডিআই-এর প্রকল্প পরিচালক ক্রেইগ ফাগান ডয়চে ভেলেকে বলেন,‘বিভিন্নজন বিভিন্ন প্রণোদনার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কাজ করছে, যার একটি আর্থিক প্রণোদনা।’

বলতে গেলে, বিতর্কিত এসব সাইটগুলোর টিকে থাকার বড় কারণই বিজ্ঞাপন-নির্ভর আয়। চলতি বছর প্রকাশিত এক ভিডিওতে ট্রাম্পের সাবেক সহযোগী স্টিভ ব্যাননও একে ডানপন্থি গণমাধ্যমগুলোর আয়ের বড় উৎস হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।

ডয়চে ভেলের আরো অনুসন্ধানে দেখা গেছে, টুইটচি এবং জিরো হেজে-র মতো মতো ভুয়া তথ্যের সাইটগুলোতে জার্মান বৃহৎ কোম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপন দেয়া হয়, যার মধ্যে আছে রেল পরিবহন প্রতিষ্ঠান ডয়চে বান, গাড়ি নির্মাতা ওপেল, ডয়চে টেলিকম, পোস্টব্যাংক এবং বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান থালিয়া। তবে তারা যে জেনেশুনে এসব সাইটে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে এমনটা নয়। মূলত ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের প্রক্রিয়াগত সমস্যাই এর প্রধান কারণ।

ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের পুরো প্রক্রিয়াই সফটওয়্যার পরিচালিত, যার দুই-তৃতীয়াংশই আসে বিভিন্ন সাইটে দেয়া ক্রয়-বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন থেকে। বিনিয়োগ সংস্থা জেনিথের হিসাবে ২০১৯ সালে এর পরিমাণ ছিল আট হাজার ৪০০ কোটি ডলার। ২০২০ সালে তা আরো বড় আকারে বাড়বে বলে তাদের প্রত্যাশা।

সব মিলিয়ে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের গোটা প্রক্রিয়াটিতেই স্বচ্ছতার অভাব আছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। গত জুনে যুক্তরাজ্যের একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ব্রিটেনের তথ্য কমিশনার এলিজাবেথ ডেনহাম বলেন,‘যেই জটিল প্রক্রিয়ায় ওয়েবসাইট ও অ্যাপসগুলোতে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়, তা নিয়ে অনেক মানুষই হয়তো একটি মুহূর্তের জন্যেও ভাবে না। কিন্তু পর্দার পেছনে আসলেই জটিল আর বৃহৎ আকারের একটি ব্যবস্থা কাজ করে।’

গত জুনে প্রকাশিত জার্মান সরকারের একটি প্রতিবেদনেও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রোগ্রামনির্ভর বিজ্ঞাপনে সমস্যা আছে, যা আইনের উর্দ্ধে ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না। এ বিষয়ে ক্রেইগ ফাগান বলেন,‘আমার মনে হয়, এই সমস্যা সমাধান করতে হবে শিল্পের মাধ্যমেই। গোটাটাই শিল্পের সমস্যা, সামাধানটাও আসতে হবে তাদের থেকেই।’ সূত্র : ডয়চে ভেলে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার

সকল