খুনিরাই আজ খুনের বিরুদ্ধে কথা বলছে: কাদের
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২২ আগস্ট ২০১৯, ২১:৪৫
খুনিরাই আজ খুনের বিরুদ্ধে কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলা উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব ইতিহাসের অনেক নৃশংস হত্যাকান্ডের কথা জানি। সব হত্যাকাণ্ডগুলো বিচার করলে বঙ্গবন্ধুর মতো নৃশংস হত্যাকাণ্ড আর হয়না। সেদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় সেই মহানায়ককে সংবর্ধনার আয়োজন করছিল। কিন্তু ঘাতকরা তা হতে দিল না।
তিনি বলেন, আজ বড় বড় কথা বলেন বিএনপি নেতারা। সেদিন বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে সেনা প্রধান মেজর জিয়া। এদেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে যে অবিচ্ছিন্ন দেয়াল তারা তৈরি করেছে। তা ভুলবার নয়। ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের পর ঘাতকদের বিদেশে পাঠিয়েছে কে? তাদের পুনর্বাসিত করেছে কে? জিয়া। সেই হত্যার সাথে জড়িত আরো ছয়জন এখনো বিদেশে। কয়েকজনের বিচার হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঘাতকদের যাতে বিচার না হয় অধ্যাদেশ জারি করে ৫ম সংশোধনী করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব আপনি আমার কাছে রাখা আমার প্রশ্নগুলোর জবাব এখনো দেননি। ১৫ আগস্টে জিয়াউর রহমানই হত্যাকারীদের প্রধান সহযোগী।
আসুন আজকের প্রসঙ্গে, ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা। ২১ আগস্ট ও ১৫ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। ২১ আগস্ট টাইম টার্গেট ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন বড় ধরণের কোন অঘটন ছাড়া তিনি বেঁচে গেছেন। হাওয়া ভবন থেকে সেদিন বলা হয়েছিল। হামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল বলে মুফতি হান্নান আদালতে জানিয়েছে।
নয়া পল্টনে একজন আবাসিক প্রতিনিধি আজগুবি বক্তব্য দেন জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিচার হলে পরে জিয়াউর রহমার হত্যার শিকার হতেন না। কারণ হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে। আজকে এসব সত্য বিষয়গুলো আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। আপনারা কিভাবে বলতে পারেন ২১ আগস্টে আওয়ামী লীগ জড়িত। আপনারা হত্যার আলামত নষ্ট করলেন কেন।
নোয়াখালী থেকে একটি বেকার ছেলে জজ মিয়াকে এনে কেন প্রহসন করলেন। ইতিহাস সাক্ষি। সত্যকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, বি এম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।