১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রিয়ার কোলে নতুন অতিথি

প্রিয়ার কোলে নতুন অতিথি - নয়া দিগন্ত

ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানায় জিরাফ পরিবারে যোগ হয়েছে নতুন মুখ। শনিবার দুপুরে মা জিরাফ প্রিয়ার কোলে এসেছে নতুন অতিথি। কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে মা প্রিয়ারও যেন খুশির কোনো সীমা নেই। নতুন এই অতিথি নিয়ে এখন চিড়িয়াখানার এল ১৪নং খাচাঁয় মোট জিরাফের সংখ্যা এখন ৮।

শনিবার দুপুরে চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, প্রিয়া নামের মা জিরাফের কোল আলোকিত করে এসেছে নতুন এই অতিথি। ফুটফুটে আর বেজায় চঞ্চল কন্যা বাচ্চাটির পুরো শরীরকে প্রিয়া তার জিহ্বার আলতো ছোঁয়ায় আদর করে দিচ্ছে। মাত্রই জন্ম নেয়া জিরাফ শাবক প্রথম দিকে দাঁড়াতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্চিল বারবার। পরে একসময় সে নিজে নিজেই চারপায়ে ভর করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। প্রকৃতির নিয়মে নিজেই মায়ের স্তনে মুখ রেখে দুধও পান করে সে।

এদিকে প্রিয়ার কোলে নতুন অতিথির খবর পেয়ে এল ১৪নং খাঁচার কাছে ছুটে যান চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম, ডেপুটি কিউরেটর ডা. নুরুল ইসলাম, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ডা. ওয়ালিউর রহমান। নতুন অতিথির আগমনে এই মুহূর্তকে ছবিতে ধরে রাখার দায়িত্ব দেয়া হয় এ্যানিমেল কেয়ারটেকার সারোয়ার হোসেন রনিকে।

চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম নয়া দিগন্ত অনলাইনকে জানান, আমাদের এখানে এখন মোট আটটি জিরাফ রয়েছে। আজ শনিবার যে মা জিরাফটি বাচ্চা দিয়েছে তার নাম প্রিয়া। এছাড়াও এখানে অন্য জিরাফগুলো হচ্ছে- লাবন্য, প্রিন্স, প্রভা, ছোট রাজা, বড় রানী বা ক্লিওপেট্রা। লাবন্য মা জিরাফটি অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বাচ্চা দেবে।

তিনি আরো জানান, সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে চিড়িয়াখানায় এখন নিজস্বভাবেই বংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে জিরাফের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে এখানেই জিরাফের ৬টি বাচ্চা বংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা পেয়েছি।

ডেপুটি কিউরেটর ডা. নুরুল ইসলাম জানান, চিড়িয়াখানায় যেসব দর্শনার্থী প্রতিদিন আসছেন তাদের প্রায় প্রত্যেকের কাছেই আকর্ষণীয় প্রাণীগুলোর মধ্যে জিরাফ অন্যতম। বিশেষ করে শিশুরা জিরাফ দেখে বেশি আনন্দ পায়। তাই জিরাফের সংখ্যা এভাবে বাড়াতে পারলে এটা দেশের জন্যই ভাল।

অন্যদিকে চিড়িয়াখানার প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ডা. ওয়ালিউর রহমানের অফিসের তথ্য তালিকা থেকে জানা যায়, বর্তমানে জাতীয় চিড়িয়াখানায় বৃহৎ প্রাণী বা তৃণভোজী শাখায় রয়েছে ১৮ প্রজাতির প্রাণী। এর মধ্যে আছে হাতি, উট, গন্ডার, জলহস্তি, জিরাফ, জেব্রা, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, ঘোড়া, ওয়াল্ডিবিষ্ট, কমন ইল্যান্ড, গ্রেটার কুন্ডু, গাবা, ওয়াটার ব্যাক, গরাল, ইম্পালা, ক্যাঙ্গারু ইত্যাদি।

মাংসাশী শাখায় রয়েছে ১১ প্রজাতির প্রাণী। এগুলোর মধ্যে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, আফ্রিকান সিংহ, এশিয়াটিক সিংহ, এশিয়াটিক কালো ভাল্লুক, ডোরাকাটা হায়েনা, চিত্রা হায়েনা, শিয়াল, মেছো বিড়াল, বনবিড়াল ইত্যাদি। এছাড়াও ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী ও সরিসৃপ শাখায় আছে ২৫ প্রজাতির প্রাণী। পাখি শাখায় রয়েছে ৫৮ প্রজাতির পাখি। প্রাণী জাদুঘর শাখায় অর্থাৎ এক্যুরিয়াম ফিসের মধ্যে রয়েছে ২৬ প্রজাতির প্রাণী।

উল্লেখ্য, জাতীয় চিড়িয়াখানায় বেশ কিছু নতুন পশু বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বেশ কিছু প্রাণী এসেছে। আরো কিছু নতুন প্রাণী আনা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement