২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তবুও কামনা সন্তানেরা ভালো থাকুক

তবুও কামনা সন্তানেরা ভালো থাকুক - সংগৃহীত

সন্তানদের কাছে উপেক্ষিত হয়েও সন্তানের প্রতি বৃদ্ধাশ্রমে থাকা প্রবীণদের ভালোবাসা এতটাই গভীর ও নিঃস্বার্থ যে ছেলেমেয়ের জন্য সবসময় তারা মঙ্গল কামনা করেন। সন্তানদের নির্মমতার পরও সবার প্রার্থনা ও কামনা সন্তান ভালো থাকুক। অনেকটা মোঘল সাম্রাজ্যে সেই ইতিহাসের মতো, রুগ্ন পুত্র হুমায়ুনকে নিজের জীবনের বিনিময়ে বাঁচাতে সম্রাট বাবর আল্লাহর কাছে মুনাজাত করেছিলেন। ফলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন হুমায়ুন। আর মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন সম্রাট বাবর। পিতার এমন আত্মত্যাগের পরও বৃদ্ধ বয়সে এসে কোনো কোনো সন্তানের কাছে বাবারা ‘বোঝা’ হয়ে পড়েন। যাদের ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধ বয়সে যখন সন্তানের ভালোবাসা ও সেবাযতœ পাওয়ার কথা, সে সময় বৃদ্ধাশ্রমই তাদের শেষ ভরসা। যাদের জন্য সব ছেড়ে তারা আজ নিঃস্ব তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষোভ থাকলেও অভিশাপ নেই। মৃত্যু পর্যন্ত সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন তারা।

আশ্রমে থাকা প্রবীণদের মধ্যে যারা কথা বলেছেন, তাদের প্রত্যেকের কথায় সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অভিমানের বিষয়টি উঠে এলেও অভিশাপ ছিল না। তবে প্রায় প্রত্যেকেই তাদের জীবনের ঘটে যাওয়া কাহিনী বলতে গিয়ে কেঁদেছেন। সব অভিযোগে পর একজনের ভাষ্য, ‘যাই হোক সন্তানতো। তারা ভালো থাকুক’। 
একজন বললেন, ‘আমার যা হওয়ার তো হয়েই গেছে। এখন মরতে পারলেই বাঁচি। তবে সন্তানদের অভিশাপ দেই না। যাই করুক আমিই তো তাদের পেটে ধরেছি। আমি কষ্টে থাকি অসুবিধা নেই। আমার ছেলেমেয়ে সুখে থাকুক। মা হয়ে সন্তানদের কি করে অভিশাপ দেব’।

আরেকজন সরকারি উচ্চপদে চাকরি করতেন। ১০ বছর আছেন এখানে। প্রায় ঘণ্টাখানেক কথা বললেন। তার প্রতিটি কথায় ছিল সন্তানদের দুর্ব্যবহারের ভয়াবহ বর্ণনা। বিদায় নেয়ার আগের কথায় মনে হলো এতক্ষণ যা বর্ণনা দিয়েছেন সবই ভুলে গেছেন। বললেন, ‘আমার তো আর হারানোর কিছু নেই। আর ক’দিন বাঁচব। সুতরাং এত কিছুতেও কষ্ট নেই। সন্তানগুলো ভালো থাকুক। আমার অভিশাপে যদি তাদের কোনো ক্ষতি হয় তবে তো তারা কষ্টে থাকবে। এ জন্য কারো কাছে কিছু বলতে চাই না। তোমাকে বললাম। যাক অতীত ভুলে থাকতে চাই’। 
অপরজনের ভাষ্য, ‘অভিযোগ যাই করি সবই মনের কষ্টে। তবে বাবা-মায়ের কাছে সব সন্তানই সমান। আমার সন্তানেরাও আমার কাছে প্রাণের চেয়েও প্রিয়। যার কারণে আমি কষ্ট করলেও কোনো কারণে তারা আমার মতো এমন জায়গায় এসে কষ্ট করুক তা চাই না। কারণ বাবা হয়ে আমি তা সহ্য করতে পারবো না’। 

আরেকজন বললেন, ‘ওরা ছোট মানুষ, হয়তো বুঝতে পারেনি বলে আমার সাথে এমন আচরণ করেছে। যাক যা হওয়ার তো হয়েই গেছে। এখন আমি ছাড়া যদি ওরা ভালো থাকে তাতে ক্ষতি কি। আমারই তো সন্তান। পিতা হিসেবে সবসময় তাদের জন্য দোয়া করি। সন্তান তো অপরাধ করবেই। কিন্তু পিতা হিসেবে উচিত তাদের ক্ষমা করে দেয়া। কারণ আমরা অভিশাপ দিলে ওরা কোথায় যাবে’?


আরো সংবাদ



premium cement
সিঙ্গাপুরে রডচাপায় বাংলাদেশী শ্রমিক নিহত ১৫ দিনে সড়কে নিহত ৩৬৭, আহত দেড় হাজারের বেশি তীব্র গরমে পথচারীদের স্যালাইন-পানি বিতরণ আইনজীবী ফোরামের চেলসিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিল আর্সেনাল শেরপুরে হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে জিম্বাবুয়ের শক্তিশালী দল নওগাঁয় ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদণ্ড মিয়ানমারের কারাগারে সাজা শেষে ফিরল ১৭৩ বাংলাদেশী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত : হাইকমিশনার রাজবাড়ীতে হিট স্ট্রোকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যু কক্সবাজারের সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

সকল