১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাসপোর্ট ছাড়া বিমান নিয়ে কাতার গিয়ে আটকা পাইলট

-

পাসপোর্ট ছাড়াই দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। সঙ্গে পাসপোর্ট না থাকায় বুধবার রাতে তাকে আটকে দিয়েছে কাতার ইমিগ্রেশন। এখন তিনি আছেন দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের জিম্মায়।

সূত্র জানায়, বিদেশ সফররত (বর্তমানে ফিনল্যান্ড) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে বুধবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। ভিভিআইপি এ বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। তিনি পাসপোর্ট ছাড়াই কাতার যান, যেটি ধরা পড়ে সে দেশের ইমিগ্রেশনে। পরে তাকে ইমিগ্রেশনে আটকে রাখা হয়। বোয়িং ৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনারে চড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাতার থেকে বাংলাদেশে আসার কথা আগামী ৮ জুন। ফজল মাহমুদ এই বিমানের পাইলট।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, পাসপোর্ট ছাড়া কারও দেশত্যাগ কিংবা অন্যদেশে প্রবেশের সুযোগ নেই। ফজল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনকে জানান, তার পাসপোর্ট বিমানের ফ্লাইট অপারেশন রুমের লকারে। পরে বিমানের নিরাপত্তা মহাব্যবস্থাপকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করেন বিমানের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ মহাব্যবস্থাপক (জিএম সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ) আশরাফ হোসেন।

তিনি জানান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন জামিল আহমেদের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি পাসপোর্ট উদ্ধার করেন এবং এ পাসপোর্ট কাতারে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারলাইন্স ও পরে রিজেন্ট এয়ালাইন্সের একটি ফ্লাইটে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানোর চেষ্টা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কিন্তু বিমান দুটির কর্তৃপক্ষ ক্যাপ্টেন ফজলের পাসপোর্ট বহনে অস্বীকৃতি জানায়।

এদিকে পাসপোর্ট ছাড়া একজন পাইলট কীভাবে নিজ দেশের ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিদেশ গেলেন এটি নিয়ে তোলপাড় চলছে। আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট ছাড়া দেশত্যাগ ও অন্য দেশে প্রবেশের সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহিবুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন,  বিষয়টি তাদের কানেও এসেছে। তদন্তে গাফিলতি প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement