২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাংবাদিক শুনেই ক্ষেপে উঠলেন এএসআই প্রদীপ

দৈনিক সময়ের আলো’র অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক মোস্তফা ইমরুল কায়েস - সংগৃহীত

এখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? আপনি কি করেন? কার্ড দেখান। অহ্ এই কার্ড! সাংবাদিক! হু, এসব কোনো পত্রিকা হলো! এসব পত্রিকা মানুষ পড়ে? সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর এভাবেই ক্ষেপে উঠলেন হাতিরঝিল থানার এএসআই প্রদীপবর্ধণ। শনিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে রামপুরা ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বের ঢালে মন্দিরের সামনের ফুটপাতে এভাবেই হেনস্তা শিকার হয়েছেন দৈনিক সময়ের আলো’র অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক মোস্তফা ইমরুল কায়েস।
শুধু তাই নয়, তাকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন সেই এসআই। কিন্তু উপস্থিত লোকজনের কারণে সেটি আর সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগী ইমরুল কায়েস জানান, শনিবার বিকেলে তার অফিসিয়িাল মিটিং থাকায় তিনি তড়িঘড়ি করে আসছিলেন। পথে রামপুরা ব্রিজের পশ্চিম ঢালের নিচে মন্দিরের সামনের ফুটপাতে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তার পাশেই বসে ছিলেন তিন পুলিশ সদস্য। একজন তাকে বলেন, এই আপনি এখানে দাঁড়াইছেন কেন? যান অন্যখানে চলে যান। ওই পুলিশকে তখন তিনি বলেন,আমি সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছি, এ কারণে এখানে দাঁড়িয়েছি। এমন কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঙ্গে থাকা এএসআই প্রদীপ বর্ধণ উঠে আসেন এবং হাত ধরে টান মারেন। বলতে থাকেন, এইদিকে আসেন, আপনি কি করেন? দেশের জন্য তো আপনাদের কোনো ধরনের অবদান নাই। সবটাই আমাদের করতে হয়। আপনাদের নিরাপত্তাও আমাদের দিতে হয়। এসআইয়ের এমন কথা শুনে আমি তখন প্রতিবাদ করে বলি, শুধু আপনারাই দেশের জন্য সব করেন, আর আমাদের মত আমজনতার কোনো অবদান নাই না? সবার অবদানেই আজকের এই বাংলাদেশ বুঝলেন। এমন প্রতিবাদ শুনে এএসআই প্রদীপ এবার ক্ষেপে উঠলেন-বললেন, আপনি কি করেন? পরিচয়পত্র হাতে দিলাম। এবার তিনি সাংবাদিকতার কার্ড দেখে তাচ্ছিল্য শুরু করলেন। বলতে লাগলেন, এই পত্রিকা কেউ পড়ে? বাজারে কেউ চিনে এই পত্রিকা? আজ জানেন কি দিন? কেন আপনি এখানে দাঁড়াবেন? আপনি তো কিছুই জানেন না- এ রকম নানা তাচ্ছিল্য সুরে তাকে অপমান করতে থাকেন। বিশেষ করে সংবাদকর্মী পরিচয় পাওয়ার পর তার গলার সুরটা উপরে উঠতে থাকে। ওই সময় সাংবাদিক ইমরুল অফিসে যাবেন প্রদীপকে জানালে তিনি বলতে থাকেন -আজ আপনার যাওয়া হবে না, আপনাকে থাকতে হবে, থানায় যেতে হবে। পরে ইমরুল কায়েস কোনো প্রকার তর্কে না জড়িয়ে সেই স্থান থেকে দ্রুত চলে আসেন এবং বিষয়টি হাতিরঝিল থানার ওসিকে জানান। ওসি তাকে একটি অভিযোগ দিতে বলেন এবং বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এএসআই প্রদীপ বর্ধণেরফোন নাম্বারে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাতিরঝিল থানার ওসি আবু মো. ফজলুর করিম বলেন, তাকে অভিযোগ দিতে বলেছি, অভিযোগ পেলে তার (এএসআই প্রদীপ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement