১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চাঁদে মার্কিন গোপন ঘাঁটি!

- সংগৃহীত

অনেকে ভাবেন, চাঁদে হয়তো অদ্ভুত কিছু ঘটে চলেছে, কিন্তু আমাদের তা জানা নেই। অন্তত উইকিলিকসের ফাঁস করা কিছু সরকারি নথি দেখে সেই ভাবনা আরও জোর পাবে। নথির শিরোনাম- ‘রিপোর্ট দ্যাট ইউআর ডেস্ট্রয়েড সিক্রেট মুন বেইস (প্রতিবেদন, চাঁদের গোপন ঘাঁটি ধ্বংস করেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন)’।

নথিটি ইলেকট্রনিক নয়, এজন্য পুরো লেখা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে উইকিলিকস। নথিটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিকল্প সংবাদমাধ্যম কালেক্টিভ ইভল্যুশান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিরোনামেই মহাকাশ যুদ্ধের বাস্তবতার বিষয়টি পরিস্কার। একই সাথে নথিটি ‘চাঁদে গোপন ঘাঁটি’র সম্ভাব্যতাও তুলে ধরে। ঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্রের এবং ইউআর (সোভিযেত ইউনিয়ন) ধ্বংস করার আগ পর্যন্ত এটি সক্রিয় ছিল।

শুধু এই নথিটি নয়, উইকিলিকসের ফাঁস করা আরও কিছু নথি আছে এ বিষয়ে। সেসব থেকে পরিস্কার যে, চাঁদে ঘাঁটি স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন বিভিন্ন দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা চলেছে। মার্কিন সরকারের প্রকাশনা দপ্তরের একটি নথি এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। নথিটিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, মার্কিন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো চাঁদে ঘাঁটি নির্মাণ করা।

১৯৬৬ সাল থেকে এ ধরনের কাজ শুরু হয় বলে সংবাদমাধ্যম কালেক্টিভ ইভল্যুশান জানিয়েছে।

নথিটির একটি অংশে প্রেসিডেন্ট কেনেডি ও জনসনের কথা উল্লেখ করে বক্তব্য লিখেছেন জর্জ পি মিলার- ‘আমি এও বিশ্বাস করি যে, প্রেসিডেন্ট কেনেডি ও জনসন ১৯৭০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তা আমরা অর্জন করতে পারবো। আমাদের এগিয়ে চলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর আমার নিজের আত্মবিশ্বাস এমন যে, আমি সামনে আরও নাটকীয় অর্জন দেখতে পাই। যদিও আমি এগুলোর জন্য সময়সীমা দেব না : ১. চাঁদের পৃষ্ঠে অনুসন্ধান চালানো এবং ২. সেখানে এক বা একাধিক সম্ভাব্য স্থায়ী ঘাঁটি তৈরি করা।’

এর বাইরেও মার্কিন সরকারের প্রকাশ করা নথিতে এ বিষয়ে আলোচনা দেখা যায়। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার সংস্থা সিআইএর একটি নথিতে দেখা যায় সেখানে মাহাকাশকে অস্ত্রসমৃদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। ‘সামরিক ভাবনা (অতি গোপনীয়)’ শিরোনামে নথিটি আসলে একটি স্মারক চিঠি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল কোরোনেভস্কি সেটি সিআইএ পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছিলেন।

এ ছাড়া উইকিলিসের ফাঁস করা আরেকটি ইমেইলের কথা বলা যায় এ প্রসঙ্গে। এটি লিখেছিলেন অ্যাপোলো ১৪ এর নভোচারী ড. এডগার মিশেল ও ড. ক্যারোল রসিন; রাজনীতিবিদ জন পোডেস্তার কাছে।

ইমেইল তারা লিখেছেন- ‘প্রিয়জন, যেহেতু মহাকাশ দৌড়ের যুদ্ধ জমে উঠেছে, আমার ধারনা তোমার কিছূ বিষয় জানা দরকার, এজন্যই তুমি ও আমি স্কাইপেতে আলোচনার সময় ঠিক করেছি। মনে রেখ, আমাদের পার্শ্ববর্তী মহাবিশ্বের অহিংস ইটিআই (ভিন গ্রহের বুদ্ধিসম্পন্ন সত্ত্বা) পৃথিবীতে জিরো পয়েন্ট এনার্জি আনার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে। তারা পৃথিবী ও মহাকাশে কোনো ধরনের সামরিক সহিংসতা সহ্য করবে না।’


আরো সংবাদ



premium cement