২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আগাম বন্যা মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি স্থগিত

- ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ পর্যায়ের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি (হজ পালনের ছুটি ছাড়া) মঞ্জুর স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মহাপরিচালকের অনুমতি ব্যতিত সদর দপ্তর ত্যাগ না করার জন্যও নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমান এ নির্দেশ দেন। দেশে আগাম বন্যার মোকাবেলার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ পর্যায়ের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে সতর্কতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশনা দেন তিনি।

এ ক্ষেত্রে তিনি মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদেরকে স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে আগাম মোকাবেলায় তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের স্বার্থে বোর্ডের মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্ব-স্ব কর্মস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে অবস্থান করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়। জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক এ. কে. এম. নজরুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন : সিরাজগঞ্জের ক্রসবার বাঁধের ৬০ মিটার ধসে গেছে যমুনায়
নুরুল ইসলাম রইসী সিরাজগঞ্জ, ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

সিরাজগঞ্জ শহরসংলগ্ন ৩ নম্বর ক্রসবার বাঁধের তিনটি অংশে ধস নেমেছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে আকস্মিক এই ধস দেখা দেয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ধসে যায় বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী কর্মকর্তা জানান। স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে এ অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের সঠিক তদারকির অভাব ও বাঁধের আশপাশের এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পানি কমার পাশাপাশি বালি উত্তোলনের কাঁরণে বাঁধের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে বর্তমানে এখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। আর ধস রোধে এরই মধ্যে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে পাউবো। 

স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন ধরে যমুনার পানি দ্রুত কমছে। পানি কমার সাথে সাথে আকস্মিক ধস দেখা দিয়েছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, বাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের গাফিলতি ছাড়াও বাঁধের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করায় এই ধস দেখা দিয়েছে। দ্রুত ধস রোধ করা সম্ভব না হলে আরো ক্ষতির মুখে পড়বে এই বাঁধ। এ অঞ্চলের বাসিন্দা হাসিবুল জানান, বাঁধের পাশ দিয়ে পাথরের বড় বড় স্তূপ করার কথা থাকলেও তা বাঁধের অনেক অংশে করা হয়নি। এ ছাড়া বাঁধের পাশ থেকে বালু উত্তোলন তো চলেই আসছে। আরেক বাসিন্দা হজরত জানান, আপাতত ধস রোধে যেভাবে কাজ করা হচ্ছে তা দিয়ে কতটা ধস রোধ করা যাবে তা নিয়ে সংশয় আছে। 

এ দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, পানি কমতে থাকায় এবং বাঁধের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করায় বাঁধে এই ধস দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করায় বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। ধস রোধে বালুর বস্তা ডাম্পিং করা হচ্ছে।

যমুনায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজের বালুমাটি দ্বারা সিরাজগঞ্জ শহরের সদর উপজেলা কমপ্লেক্সের পূর্ব পাশে যমুনা নদীর পশ্চিম পাড় থেকে শুরু করে নদী অভ্যন্তরে ১৭৯৮ মিটার লম্বা এই ৩ নম্বর ক্রসবার বাঁধটি তৈরি করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শুরু হয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এর কাজ শেষ হয়। যমুনার তীর থেকে শুরু করে নদীর অভ্যন্তরে ইংরেজি এল অক্ষরের আদলে নির্মিত এই ক্রসবার বাঁধটি বর্তমানে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিনোদনের জন্য এখানে এসে ভিড় জমায়। এমন একটি স্থাপনা তৈরির অল্প দিনের মধ্যে এটি ভাঙনের মুখে পড়ায় নির্মাতা ও রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।


আরো সংবাদ



premium cement