২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৮০ বছর আগের রহস্যের খোঁজে গভীর সমুদ্র চষে বেড়াচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

৮০ বছর আগের রহস্যের খোঁজে গভীর সমুদ্র চষে বেড়াচ্ছেন বিজ্ঞানীরা
৮০ বছর আগের রহস্যের খোঁজে গভীর সমুদ্র চষে বেড়াচ্ছেন বিজ্ঞানীরা - ছবি : সংগৃহীত

এমেলিয়া ইয়ারহার্ট। আটলান্টিক মহাসাগরের পথে পাড়ি দেওয়া প্রথম মহিলা বিমানচালক। ১৯৩২ সালে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে বিমানসহ আচমকা উধাও হয়ে যান তিনি। কোথায় গেলেন ইয়ারহার্ট? গত ৮০ বছর ধরে তুমুল জনপ্রিয় ওই বিমানচালকের খোঁজ চলছে।

প্রথম উত্তরটা মেলে গত বছর। দাবি করা হয়, প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তে নিকুমারোরো দ্বীপে তার কঙ্কাল মিলেছে। এমেলিয়ার ব্যবহৃত প্রসাধনীরও হদিস মিলেছে বলে দাবি করা হয়। সেই দাবি যখন অনেকে মেনে নিতে শুরু করেছেন, তখনই এক বিমানের ধ্বংসাবশেষ ঘিরে উঠে এল নতুন প্রশ্ন।

সম্প্রতি পাপুয়া নিউ গিনির কাছে সমুদ্রে খোঁজ মেলে একটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষের। প্রথমে জাহাজ বলে মনে হলেও বিশেষজ্ঞরা এখন মোটামুটি নিশ্চিত, এটি একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ। এবং এই ধ্বংসাবশেষ ১৯৩৭ সালে হারিয়ে যাওয়া এমেলিয়ার বিমান হতে পারে বলেও সন্দেহ করছেন অনেকে।

১৯৩৭ সালে এমেলিয়া ইয়ারহার্ট প্রশান্ত মহাসাগর থেকে হাউল্যান্ড যাওয়ার পথে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। ৮০ বছর আগের সেই উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষকেই প্রথমে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ভেবেছিলেন উদ্ধারকারীরা।

প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম স্নাভেলি দাবি করেছেন, এটি বিমানই। কিন্তু ডাইভারদের তা নিশ্চিত করার জন্য আরও ভাল করে পরীক্ষা করতে হবে। তাকে সমর্থন করেছেন আরও কয়েক জন বিশেষজ্ঞ।

বার্নাকল দিয়ে আবৃত পুরনো কাচের অংশ মিলেছে এখান থেকে। ১৯৩০ সাল নাগাদ যে ধরনের বাতি ব্যবহার করা হয় বিমানে, তেমন কিছুও মিলেছে। এই ধরনের বাতিকে লকহিড লাইট বলা হত।

একটা কাচের চাকতির মতো অংশ মিলেছে, যেটি দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই ধ্বংসাবশেষ ইয়ারহার্টের বিমানেরই। তবে এই বিমানে তিনিই ছিলেন কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা।

সারকামনেভিগেশনাল ফ্লাইটের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ২৯ হাজার মাইল পথ পেরোতেই পাড়ি দেন তিনি ও নেভিগেটর ফ্রেড নুনান। মনে করা হয়, তার বিমান লকহিড ইলেকট্রা এল-১০ই-র জ্বালানি ফুরিয়ে গিয়েছিল। দু’বছর সন্ধান চালানোর পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

এর পর থেকেই শুরু হয় নানা রটনার। কেউ বলেন, এমিলিয়ার বিমান দখল করেছিল জাপানিরা। গুপ্তচর সন্দেহে তাকে আটক করে মার্শাল দ্বীপে রেখে দেওয়া হয়। কেউ বলেন, গোপন অভিযানে গিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আমেরিকা ফিরে আসেন এমিলিয়া। পরিচয় গোপন রেখেছিলেন তিনি।

আর এখান থেকেই শুরু রহস্যের। এই বিমান যদি এমেলিয়ার হয়, তা হলে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দূরে নিকুমারোরোতে তার কঙ্কাল মেলে কী করে?

টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ, অধ্যাপক রিচার্ড জানৎজ অবশ্য নিশ্চিত, ইয়ারহার্টেরই কঙ্কাল মিলেছিল নিকুমারোরোতে। দাবি, পাল্টা দাবিতে রহস্য বাড়ছে ৮০ বছর আগের ‘হিরোইন’কে নিয়ে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা

সকল