১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এ বছরের প্রথম পূর্ণিমা ‘সুপার ব্লাড উল্ফ মুন’ কী?

‘সুপার ব্লাড উল্ফ মুন’ নামটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন - ছবি : বিবিসি

এ বছরের প্রথম পূর্ণিমা এবং চন্দ্রগ্রহণ আজ। বিশ্বের বহু দেশের মানুষজন আজ আকাশে ‘সুপার ব্লাড উল্ফ মুন’ দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।

উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে এই চন্দ্রগ্রহণের পুরোটা দেখতে পাবেন তারা।

এই অঞ্চলগুলোতে সোমবার খুব ভোরে দেখা যাবে এই চাঁদ। যার রং হবে বেশ লাল। এই চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে, বিশেষ করে এর নামটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন।

এই চন্দ্রগ্রহণের গুরুত্ব কি?
একই রেখায় সূর্য ও চাঁদের ঠিক মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে পৃথিবী যখন অতিক্রম করে তখন এই চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে।

এই ক্ষেত্রে সূর্যের অবস্থান হবে পৃথিবীর পেছন দিকে। আর চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার পুরোপুরি নিচে চলে যায়। সে কারণে এটির রং গাঢ় লাল হয়ে উঠবে।

তবে চাঁদ পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে উঠবে তা নয়।

ছায়ায় চলে গেলেও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সাথে ধাক্কা লেগে সামান্য সূর্যের আলো চাঁদ পর্যন্ত পৌঁছাবে।

সেই আলোর কারণে এটি লাল দেখা যাবে। ভোল্টেজ কমে গেলে পুরোনো দিনের লাইট বাল্বের যে রঙ হয় কিছুটা সেরকম।

সাধারণ চাঁদের থেকে এটি অনেক বড় ও উজ্জ্বল হয়ে থাকে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, আকারে সাধারণ সময়ের চাঁদের থেকে সাত শতাংশ আর উজ্জ্বলতায় পনেরো শতাংশ বেশি হতে পারে এমন চাঁদ।

চন্দ্রগ্রহণের সময় হবে ঘন্টাখানেক। ২০২৯ সাল পর্যন্ত এমন ‘সুপার ব্লাড উল্ফ মুন’ আর দেখা যাবে না।

এর নাম কোথা থেকে এলো?
এর আগে ‘ব্লাড মুন’ সম্পর্কে হয়তো শুনেছেন। বৈজ্ঞানিক এসব নাম তৈরির পেছনে নানা রকম কারণ রয়েছে।

‘সুপার ব্লাড উল্ফ মুন’, চাঁদের এমন উদ্ভট নাম কিভাবে এলো?

এসময় পৃথিবীর সবচাইতে কাছে চলে আসবে চাঁদ। তাই এটিকে আকারে এত বড় দেখা যাবে।

এজন্য ‘সুপার’ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। জানুয়ারি মাসে যে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যায় সেটিকে ‘উল্ফ মুন’ বলা হয়।

শীতের দেশে জানুয়ারি মাসে খুব ক্ষুধার্ত থাকে উল্ফ না নেকড়ে।

সেসময় আকাশের দিকে মুখ তুলে তাদের চিৎকার করতে দেখা যায়।

সেই থেকে এই সময়কার চাঁদের নাম অনেক ক্ষেত্রে ‘উল্ফ মুন’ বলা হয়। আর চাঁদের রঙ লাল দেখা যাবে বলে যুক্ত হয়েছে ‘রেড’।

এইসব কিছু মিলিয়ে বললে দাড়ায় ‘সুপার ব্লাড উল্ফ মুন’।

এটি কি নিরাপদ?
আরেকটি যে প্রশ্ন চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে নিয়মিত ওঠে সেটি হল এর দিকে সরাসরি তাকানো নিরাপদ কিনা।

খুব উজ্জ্বল আলোর কারণে সূর্যগ্রহণের দিকে সরাসরি তাকানো ক্ষতিকর হতে পারে। তবে চন্দ্রগ্রহণের আলো অনেক মোলায়েম হয়ে থাকে।

তাই বাড়তি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়াই এটি দেখা একদম নিরাপদ।


আরো সংবাদ



premium cement