২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এরশাদের আমলে পালিয়ে বেড়াতেন সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর

- ছবি : সংগৃহীত

প্রায় পাঁচ দশক ধরে সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর বুধবার ভোররাতে মারা গিয়েছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। ঢাকার একটি হাসপাতালে কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি।

তিনি বেশ কিছুদিন যাবত লিভার, হার্ট, কিডনি ও ডায়াবেটিস জনিত শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার প্রেসক্লাবে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো।

সাংবাদিকতা জীবনের শুরুর দিনগুলো
আমানুল্লাহ কবীর বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব দৈনিক পত্রিকায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রায় পাঁচ দশক ধরে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন।

তার জানাজায় যোগ দেওয়া সাবেক সহকর্মী ও বন্ধু আরেক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন, "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে, পাকিস্তান আমলের একদম শেষের দিক থেকে সাংবাদিকতা করেছেন আমানুল্লাহ কবীর।"

পিপল বলে একটি কাগজ দিয়ে তার কাজের শুরু। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন, "১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ যেদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনী নৃশংস হামলা চালিয়েছিল, সেদিন পিপল পত্রিকার অফিস পুরো তছনছ করে দিয়েছিলো পাকিস্তান আর্মি। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।"

সাংবাদিক নেতা হিসেবে সেনা শাসক এরশাদের আমলে বেশ চাপের মুখে পড়তে হয়েছে এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে।

রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলছেন, "এরশাদ সাহেবের সময়ে অনেক হুমকি সহ্য করতে হয়েছে তাকে, আমাকেও। সেই সময়ে নিরাপত্তার কারণে তাকে [আমানুল্লাহ কবীর] অনেক সময় পালিয়ে থাকতে হতো।"

'অনন্য, অমায়িক এবং আপোষহীন'
বার্তা সম্পাদক হিসেবে তাকে "অনন্য, অমায়িক এবং আপোষহীন" এক সাংবাদিক হিসেবে বর্ণনা করেন রিয়াজউদ্দিন আহমেদ।

সাংবাদিকদের ইউনিয়ন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সেক্রেটারি ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। মূলত ইংরেজি কাগজেই কাজ করতেন তিনি। দেশের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজি কাগজ দা ডেইলি স্টারের প্রথম বার্তা সম্পাদক ছিলেন আমানুল্লাহ কবীর।

রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন, ইংরেজি কাগজ দা ডেইলি স্টারে তারা একসাথে কাজ করেছেন। তিনি বলছেন, "ডেইলি স্টার যখন প্রথম বের হল, যখন পাতা মেকআপ করে তিনি নিয়ে আসলেন। কাগজটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এসএম আলী সাহেব খুবই ইমপ্রেসড হয়েছিলেন।"

আমানুল্লাহ কবীর, মৃত্যুর সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক ছিলেন।

বাংলাদেশের এক সময়কার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলোর একটি নিউ নেশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন তিনি। কাজ করেছেন টেলিগ্রাফ পত্রিকায়। ডেইলি ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাগজের শুরুর দিকের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন।

সরকারি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বাসস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। তার সম্পাদনায় বের হয়েছিলো দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাটি।

১৯৪৭ সালের ২৪শে জানুয়ারি জামালপুরে তার জন্ম।


আরো সংবাদ



premium cement
পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য? মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত জামায়াতের ৫ নেতাকর্মীকে পুলিশে সোপর্দ যুবলীগ কর্মীদের, নিন্দা গোলাম পরওয়ারের চায়ের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার চুরি ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফারজানাকে সংবর্ধনা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু নেতাকে বহিষ্কার

সকল