২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের বক্তব্য

যেকোনো মানদণ্ডে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঐতিহাসিক : আব্দুর রহমান - ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেকোনো মানদণ্ডেই একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯৯টি আসনের ৪০ হাজার ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি আসনের ১৬টি ভোট কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়েছে। নির্বাচনে ভোটারদের অংশ গ্রহণও আশাব্যঞ্জক।’
রহমান বলেন, এ নির্বাচনে সন্তান সম্ভবা মায়েরা যেমন ভোট দিয়েছে, তেমনি প্রতিবন্ধী ভোটাররাও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। নির্বাচনে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি প্রমাণ করে নির্বাচন ছিল সর্বোচ্চ অংশ গ্রহণমূলক।

আব্দুর রহমান আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে আয়োজিত দলের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা ও উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়াসহ দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রহমান বলেন, এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা জাতির সামনে ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থনে নির্বাচন কমিশনের অধীনে তা সুচারুরুপে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অন্তভূক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করেন।
রহমান বলেন, নির্বাচনে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও তা অতীতের যে কোন নির্বাচনের চেয়ে অনেক কম। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক।

তিনি বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে এ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
রহমান বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতদের প্রায় সকলেই আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী। দলের নেতা-কর্মীদের টার্গেট করে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সুপরিকল্পিতভাবে সারাদেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। তাদের হামলায় আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে।
তিনি বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারদের হামলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আনসার বাহিনীর নিহত দু’সদস্যের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

নির্বাচনের চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রতিটি নেতা-কর্মীকে নিজ নিজ ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করে জনগণের রায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা।


আরো সংবাদ



premium cement