২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করছে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বর্জ্য : গবেষণা

-

দেশে প্রতি মাসে প্রায় ২৫০ টন পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য হিসেবে জমা হয়। এনভারয়নমেন্ট এন্ড অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো এর একটি গবেষণা মতে এতথ্য পাওয়া গেছে।

বুধবার এসডো’র প্রধান কার্যালয়ে পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিকের দূষণঃ জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর এর ক্ষতিকারক প্রভাব, শীর্ষক প্রেস ব্রিফিং এ এ তথ্য জানান হয়। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর সিঙ্গেল ইউস প্লাস্টিক (সুপ) বা পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে এতে জানান হয় যে, নদী-নালা খাল-বিল জলাশয়ে জমে থাকা ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য মানবদেহে রক্তের সাথে মিশে ক্যান্সার, বিকলাঙ্গতা, বন্ধ্যাত্ব, অকালে গর্ভপাতসহ নানা মরণব্যাধির কারণ হতে পারে।

এসডোর পক্ষ থেকে প্রাথমিক জরিপ থেকে জানান হয়, শুধুমাত্র পুরান ঢাকা থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২৫০ টন পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক স্ট্রো ও প্লাস্টিকের কাটলারি বিক্রি হচ্ছে। যার মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫% বর্জ্য হিসেবে জমা হয় নিকটবর্তী নদী, ড্রেন ও সমুদ্রকে দূষণ করছে। পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক- যা মাত্র একবার ব্যবহার করার পর ফেলে দেওয়া হয়। পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের মধ্যে স্ট্র, প্লাস্টিক কটন-বাড, খাদ্য পণ্যের মোড়ক, প্লাস্টিকের গ্লাস-কাপ, পানির বোতল এবং প্লাস্টিক ব্যাগ উল্লেখযোগ্য। এটি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তা পরিবেশে সহজে বিনষ্ট হয় না এবং খাদ্যজালসহ পরিবেশের অন্যান্য উপাদানের সাথে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে।

এসডোর পক্ষ থেকে এ রিপোর্টটি প্রকাশ করে সংস্থাটির চেয়ারপার্সন এবং সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, বলেন, ‘বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহারের উপর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধ ও আইন প্রণয়নের পেছনে আমাদের সংস্থা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। তিনি সরকার ও সর্ব সাধারণ মানুষের কাছে এই পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ এবং এর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের আহবান জানান।

বিএসটিআই রাসায়নিক বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আবুল হাসেম বলেন, পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।

এসডো মহাসচিব ডঃ শাহরিয়ার হোসেন বলেন, প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করতে এর বিকল্প নিয়ে চিন্তা করতে হবে। প্লাস্টিকে স্ট্র এর বিকল্প হিসেবে বাঁশের স্ট্র, কাঁচের স্ট্র, ধাতব স্ট্র, পেপার স্ট্র ইত্যাদি বাবহার করা যেতে পারে।

এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা বলেন, গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হল পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা এবং সকল মানুষের জন্য একটি টেকসই ও স্বাথ্যকর পরিবেশ গড়ে তোলা।


আরো সংবাদ



premium cement