ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সঙ্কটে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যেসব ব্যবসা
- বিবিসি বাংলা
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৫৮
২০১৫ সালে করা পারমানবিক এক চুক্তি থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার দেশকে বের করে নিয়েই ক্ষান্ত হননি, কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তিনি।
নভেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে, তবে এখন থেকেই ইরানের সাথে ব্যবসা করে যেসব দেশ ও কোম্পানি তাদেরকে হুমকি দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এমনকি ইউরোপীয় মিত্রদেরও ছেড়ে কথা বলছে না হোয়াইট হাউজ।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর যে পাঁচটি দেশ ইরানের সাথে চুক্তি করেছিল - ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীন- তারা এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে।
এমনকি ইরানের সাথে বাণিজ্যে মার্কিন ডলারে লেনদেনের বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজা হচ্ছে বলে মঙ্গলবার এক ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
প্রায় সাথে সাথেই এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। প্রচ্ছন্ন হুমকি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিতে কোন কোন ব্যবসা বা কোম্পানি এখনও ইরানের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে? কারা পাততাড়ি গোটাচ্ছে?
পারমানবিক কর্মসূচি স্থগিত করার শর্তে ছয়টি দেশ তেহরানের সাথে এক চুক্তির পর ২০১৫ সালে ইরানের ওপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। তারপর থেকে বিদেশী স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি বা গাড়ি নির্মাতা থেকে শুরু করে আর্থিক বা বিমান নির্মাতারাও ইরানে ব্যবসার সুযোগ খুঁজতে শুরু করে।
জার্মান গাড়ি নির্মাতা ভোক্সওয়াগেন, ফরাসী গাড়ী নির্মাতা র্যেঁন ইরানের বাজারে গেছে। ফরাসী জ্বালানি কোম্পানি টোট্যাল ১০০ কোটি ডলারের ব্যবসা পেয়েছে। জার্মান কোম্পানি সিমেন্স ইরানের রেল-নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের কাজ পেয়েছে।
কিন্তু ২০১৮ সালের মে মাসে পারমানবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের পর নতুন এই অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র শাস্তি দিতে পারে এই ভয়ে ইউরোপীয় এসব কোম্পানির অনেকগুলোই ইরানে কাজকর্ম স্থগিত করেছে। অনেকে চলে গেছে।
ফরাসী জ্বালানি কোম্পানি টোট্যাল জানিয়েছে, তারা ইরান এবং চীনা কোম্পানি সিএনপিসি'র সাথে ১০০ কোটি ডলারের যে চুক্তি করেছিল, তা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
ডেনমার্কের শিপিং কোম্পানি মার্স্ক জানিয়েছে তারা ইরানে আর কোনো নতুন চুক্তি করবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা