১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেন-চীন-ফ্রান্স-জার্মানি-রাশিয়া

ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেন-চীন-ফ্রান্স-জার্মানি-রাশিয়া - সংগৃহীত

ইরানের পরমাণু কর্মর্সূচি বন্ধ করার চুক্তিতে যে ৬টি দেশ স্বাক্ষর করেছিল - তা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাবার পর এখন বাকি দেশগুলো কিভাবে ইরানের সাথে ব্যবসাবাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া যায় তার উপায় বের করার চেষ্টা করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বছর শুরুর দিকে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করেন - যার ফলে ইরানের সাথে কোনো দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখলে তাকেও নিষেধাজ্ঞার শিকার হতে হবে।

কিন্তু এর সাথে একমত হয়নি চুক্তি স্বাক্ষরকারী বাকি পাঁচটি দেশ ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়া।।

তারা এমন একটি নতুন এবং বৈধ আর্থিক লেনদেনের প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছে - যাতে ইরানের সাথে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া যায়, আবার মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলোরও শিকার হতে না হয়।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকো মগারিনি আজ (মঙ্গলবার) জাতিসংঘে এক আলোচনার পর এ কথা ঘোষণা করেন।

এই নিষেধাজ্ঞা এড়াতে যে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কথা বলা হচ্ছে তার মাধ্যমে মার্কিন শেয়ার বাজার কিংবা ডলার ব্যবহার না করেই ইরানের সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন চালানো সম্ভব হবে।

কিন্তু এই ব্যবস্থা কিভাবে কাজ করবে সে সম্পর্কে এখনই পরিষ্কার কোন চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বিনিময় প্রথা চালু করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। অর্থাৎ, ইরানি তেলের বিনিময়ে ইরানে ইউরোপীয় পণ্য পাঠানো হবে, কিন্তু ব্যাংকের মাধ্যমে কোন প্রকার অর্থের লেনদেন হবে না।

ফেদেরিকা মগারিনি বলেন, এর মানে হলো ইইউ-সদস্য রাষ্ট্রগুলো এমন একটি বৈধ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে যার মধ্য দিয়ে ইরানের সাথে আর্থিক লেনদেন চালানো হবে। ই্উরোপীয় ইউনিয়নের আইন মেনে তখন ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো ইরানের সাথে ব্যবসা করতে পারবে।

বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সাথেও একই ব্যবস্থা চালু হতে পারে বলে তিনি জানান।

২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে বলা হয়েছিল, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করবে। চুক্তি করার পরই এ দেশগুলোর তেল কোম্পানি এবং অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইরানের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল।

কিন্তু নভেম্বর মাস থেকে ইরানের ওপর মার্কিন আর্থিক নিষেধাজ্ঞা নতুন করে কার্যকর হচ্ছে , এবং তার ফলে কেউ ইরানের সাথে ব্যবসা করলে যুক্তরাষ্ট্রের দরোজা তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।

তা যেন না হয়, সে জন্যই একটা পথ বের করার চেষ্টা চলছে। এখন কারিগরী বিশেষজ্ঞরা অর্থ পরিশোধের উপায়গুলো নিয়ে আরো আলোচনা করবেন।

এই উদ্যোগের মূলে রয়েছে ই‌উরোপ - এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মগারিনি বলছেন, ইরানের সাথে ব্যবসা বজায় রাখার প্রশ্নে তারা বদ্ধপরিকর।

তবে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এতে কোন কাজ হবে কিনা। কারণ এরকম কোন নতুন পদ্ধতি নিলে যুক্তরাষ্ট্রও নতুন আইন করে সেগুলোকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসতে পারে।

 ট্রাম্প মনে করেন, তার এসব চাপের ফলে ইরান নতুন একটি পরমাণু চুক্তি করতে বাধ্য হবে।

মার্কিন নীতির কারণে ইরানের মুদ্রার বড় আকারে দরপতন হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement