মহাকাশ স্টেশনেও নাশকতা!
- ডেইলি মেইল
- ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:০৭
২৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ভেতরকার চাপ কমে গেলে সেটিতে থাকা মহাকাশচারীদের চোখে একটি সূক্ষ্ম ছিদ্র ধরা পড়ে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন একটি বাসযোগ্য কৃত্রিম উপগ্রহ। এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ সহযোগিতায় পাঁচটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার একটি সমন্বিত প্রকল্প।
মহাকাশ স্টেশনে ওই ফাটলের ব্যাপারে রাশিয়ার দাবি পৃথিবীতেই কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করে থাকতে পারে। রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থা রসকসমস-র প্রধান দিমিত্রি রোজোজিন বলেছেন, অরবিটিং স্টেশনে নোঙর করা অবস্থায় একটি রাশিয়ান মহাকাশ যানে কম্পিত হাত দিয়ে ড্রিল করে ছিদ্র করা হয়েছে। অপরাধীকে চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন করা হবে। এটি সয়ুজ মহাকাশ যান প্রস্তুতকারক রাশিয়ার এনার্জিয়া স্পেস ম্যানুফেকচারিং কোম্পানির জন্য একটি সম্মানের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৫০ বিলিয়ন ডলারের এই সয়ুজ মহাকাশ যানটির ছিদ্র দুই মিলিমিটার বলে ধারণা করা হচ্ছে। একটি ছোট উল্কাপিণ্ডের আঘাতে ওই ছিদ্র হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল। সেসময় স্টেশনটির ভেতর চাপ কিছুটা কমে গেলে টেপ দিয়ে ছিদ্র বন্ধ করার চেষ্টা করেন মহাকাশচারীরা। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে সয়ুজ মহাকাশযান অবতরণ করে।
রসকসমস জানাচ্ছে, তদন্ত শুরু করার পর এটা মনে হচ্ছে ভেতরকার কেউই ওই ছিদ্র করেছে, সেটা পৃথিবী বা মহাকাশ থেকেও হতে পারে। এনার্জিয়ার একটি সূত্র জানিয়েছে, পৃথিবী থেকেই ওই ছিদ্র করা হয়েছে, যা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করা গেছে।
দুই নভোচারীকে মহাকাশে পাঠাল চীন
বিবিসি, ১৮ অক্টোবর ২০১৬
মহাকাশ গবেষণার অংশ হিসেবে দুই মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠিয়েছে চীন। ২০২২ সালের মধ্যে নতুন একটি মহাকাশ স্টেশন বানানোর প্রস্তুতি নিতেই দুইজনকে মহাকাশে পাঠানো হলো বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া। দেশটির কর্মকর্তারা জানান, সোমবার সকালে চীনের উত্তরাঞ্চলের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে শেনঝউ-১১ মহাকাশযানে করে দুই নভোচারী মহাকাশের পথে যাত্রা করেন।
দুই নভোচারী হলেন : ৪৯ বছর বয়সী জিং হাইপেং, যিনি এর আগে দুইবার মহাকাশ ভ্রমণ করেছেন এবং ৩৭ বছর বয়সী চেন দং। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই নভোচারী প্রথমে তিয়াংগং-টু মহাকাশ স্টেশনে অবতরণ করবেন এবং সেখানে ৩০ দিন অবস্থান করে মানুষ বসবাসের উপযোগিতা নিয়ে পরীা-নিরীা চালাবেন।
এ বছরের শুরুতে তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনে তিনটি রকেট পাঠায়েছিল চীন। কিন্তু মানুষ বসবাসের উপযোগী না হওয়া ওই মিশনগুলো বাতিল হয়ে যায়। চীন মহাকাশে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চাইছে। এরই মধ্যে চীনের নভোচারীরা মহাকাশে হেঁটে বেড়িয়েছেন। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পর একমাত্র চীন নিজেদের নভোচারী মহাকাশে পাঠিয়েছে। ২০১৩ সালে চীন সফলভাবে চাঁদের মাটিতে তাদের মানুষ্যবিহীন রোবট যান অবতরণ করাতে সম হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা