২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাশিয়ার সামরিক মহড়ায় সেনা পাঠাবে চীন

রাশিয়ার সামরিক মহড়ায় সেনা পাঠাবে চীন - সংগৃহীত

স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করছে রাশিয়া। আগামী সেপ্টেম্বরে তিন লাখ সেনাসদস্যের অংশগ্রহণে বড় ধরনের এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। যেটি প্রায় চার দশকের মধ্যে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া। মহড়াটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন পশ্চিমাদের সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের দারুণ অবনতি হয়েছে।

রাশিয়ার মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের সামরিক অঞ্চলে অনুষ্ঠিতব্য মহড়া ভস্তক-২০১৮ চলবে ১১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এ মহড়ায় বিশ্বকে নিজেদের অস্ত্র দেখাবে রাশিয়া। এতে ৩৬ হাজার ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান, পদাতিক বাহিনী, সশস্ত্র যান, নৌবহর এবং ১ হাজারের বেশি যুদ্ধবিমান অংশ নেবে। চীন এবং মঙ্গোলিয়ার সামরিক ইউনিটও মহড়ায় অনুশীলনে অংশ নেবেন।

সাম্প্রতিক সময়ে ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এ মহড়ার কথা জানান।

১৯৮১ সালে নেটোর ওপর হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ হিসেবে সোভিয়েত বাহিনী যে বিশাল সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছিল তার সাথে ভস্তক-২০১৮ মহড়ার তুলনা করেছে শোইগু। তিনি বলেন, ওই সময়কার জাপাদ-৮১ সামরিক মহড়ার কিছু কিছু পন্থার পুনরাবৃত্তি ঘটবে এখনকার মহড়ায়। তবে এ মহড়াটি হবে আরো ব্যাপক পরিসরে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে ভস্তক-২০১৮ মহড়া ন্যায়সঙ্গত। এ মহড়ায় চীনের অংশগ্রহণ সবক্ষেত্রে দু’দেশের সহযোগিতাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে।

রাশিয়া ন্যাটোর দেশগুলোকে এই মহড়া পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়েছে। ‘ন্যাটোর মুখপাত্র ডেলান হোয়াইট বলেন, রাশিয়া মে মাসে সামরিক অনুশীলনের কথা জানিয়েছে। ন্যাটো মহড়াটি পর্যবেক্ষণের পরিকল্পনা নিয়েছে। সামরিক মহড়া চালানোর অধিকার সব জাতিরই আছে। কিন্তু স্বচ্ছতার সাথে ও নির্ধারিত নিয়মানুযায়ী মহড়া অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি।’ ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেওয়া এবং পূর্ব ইউক্রেইনে রুশপন্থি বিদ্রোহীদেরকে রাশিয়ার সমর্থনকে কেন্দ্র করে ন্যাটোর সাথে দেশটির উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ন্যাটোর সামরিক শক্তি বৃদ্ধিকে অন্যায় এবং উস্কানিমূলক আখ্যা দেয় রাশিয়া। 

সিনহুয়া জানিয়েছে, বেইজিং ৩২০০ সেনা এবং ৯০০ অস্ত্র ইউনিট অনুশীলনে পাঠাবে। জাপানের প্রধামন্ত্রী শিনজো আবে মহড়া চলাকালীন সময়ে ভ্লাদিভোস্তকে একটি সভায় অংশগ্রহণ করবেন। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানান, ‘টোকিও সব সময় চীন-রাশিয়ার সামরিক সহযোগিতা ও পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেয়।’ এই সামরিক মহড়ায় খুশি নয় জাপান। জাপান অভিযোগ করে আসছে, রাশিয়ার সেনারা এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তি বাড়িয়ে চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement