২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে তুরস্ক-ইরান-রাশিয়া-চীন-উত্তর কোরিয়া-সিঙ্গাপুর!

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে তুরস্ক-ইরান-রাশিয়া-চীন-উত্তর কোরিয়া-সিঙ্গাপুর! - সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগে এবার রাশিয়া, চীন ও সিঙ্গাপুরের তিনটি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। পিয়ংইয়ংয়ের ওপর আমেরিকা যে অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে তার অংশ হিসেবে মার্কিন সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে। 

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন নুচিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে এবং এ নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর কৌশল হিসেবে রাশিয়া, চীন ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক যেসব কোম্পানি কাজ করছে তাদেরকে মার্কিন আইনের আওতায় আনা হবে।

এসব কোম্পানি মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ১৩ আগস্ট নতুন একটি প্রকল্প ঘুরে দেখেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন, এক পর্যায়ে সাংবদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি। 

নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় একজন ব্যবসায়ীকে এবং চীন, রাশিয়া ও সিঙ্গাপুরের তিনটি জাহাজ কোম্পোনিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো চীনের ডালিয়ান সান মুন স্টার ইন্টারন্যাশনাল লজিস্টিক ট্রেডিং কোম্পানি এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক এসআইএসএমএস লিমিটেড।

দুই কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে উত্তর কোরিয়ার সাথে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার বন্দর সেবা সংস্থা প্রফিনেট লিমিটেডিএবং এর পরিচালক ভ্যাসিলি আলেকজান্দ্রোভিচকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে তুরস্কের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখন অস্থিতিশীল। যুক্তরাষ্ট্র ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের ওপর শুল্কহার দ্বিগুণ করায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট মার্কিন ইলেকট্রনিক পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিলে ওয়াশিংটন-আঙ্কারা সম্পর্ক সর্বোচ্চ তিক্ততায় পৌঁছায়। যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি, অ্যালকোহল এবং তামাকজাত পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করে তুরস্ক।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক, এক মার্কিন ধর্মযাজককে মুক্তি দিতে অস্বীকার করায় তুরস্কের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি আর নিষেধাজ্ঞা বেড়ে যায়। স্বেচ্ছা নির্বাসিত তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে ফিরিয়ে দেয়ার শর্তে মার্কিন ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্র্যাননকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানানোর পর ওয়াশিংটন আঙ্কারা সম্পর্কের অবনতি হয়। পরবর্তীতে দুই তুর্কি মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের ওপর শুল্কহার দ্বিগুণ করে যুক্তরাষ্ট্র। 

পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার পর ইরানের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত ইরানের মোটরযান খাতসহ স্বর্ণ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ধাতুর রপ্তানি বাজারকে ক্ষতিগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে গঠন করা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement