২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অস্তিত্ব টেকাতে হিমশিম খাচ্ছে আইএস!

অস্তিত্ব টেকাতে হিমশিম খাচ্ছে আইএস! - সংগৃহীত

ইরাক ও সিরিয়ায় বর্তমানে মাত্র ৩০ হাজার আইএস সদস্য অবশিষ্ট আছে বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।  সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়, আইএস ও আল কায়েদা সংগঠনের অস্তিত্ব টেকাতে হিমশিম খাচ্ছে।

জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইরাক এবং সিরিয়ার অধিকাংশ এলাকায় পরাজিত হওয়ার পর আইএসে অল্প কিছু সদস্য টিকে আছে। তবে টিকে থাকাদের মনোবল ও আদর্শ আগের জায়গায় নেই। তবে আফগানিস্তান, লিবিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম আফ্রিকায় এখনও আইএসের উল্লেখযোগ্য সদস্য রয়েছে।

আইএসের চাইতে ভাল সাংগঠনিক অবস্থা আল-কায়েদার। জাতিসঙ্ঘ বলছে, সোমালিয়া, ইয়েমেন, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে এখনও শক্তিশালী অবস্থা রয়েছে সংগঠনটির।

২০১৪ সালে ইরাকে আইএসের উত্থান ঘটে। সেসময় দেশটির তিন ভাগের এক ভাগ দখল করে নিয়েছিল আইএস। শক্তি বৃদ্ধির এক পর্যায়ে বাগদাদের উত্তরাঞ্চল থেকে সিরিয়ার আলেপ্পো পর্যন্ত বিস্তৃত হয় আইএসের ‘খিলাফত’।

অস্ত্র ছেড়ে শান্তির পথে আইএস!
এনডিটিভি, ২৪ জুলাই ২০১৮

অবশেষে অস্ত্র ছেড়ে শান্তির পথে ফিরতে চায় আইএস। আর সেই কারণে ১১ জন আইএস আফগান সরকারের কাছে আত্মসমপর্ণ করেছে।

এভাবে বন্দুক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাওয়ার ঘটনা আইএস এর সাথে সম্পৃক্তদের ক্ষেত্রে একেবারে নজিরবিহীন। এমনকি আফগান সরকারও বিষয়টি নজিরবিহীন বলে মনে করে।

শুধু তাই নয়, আগামীদিনে আইএস এর সাথে সম্পৃক্ত এমন আরো অনেকে এভাবে মূল স্রোতে ফিরে আসবে বলে দাবি আফগান সরকারের। কারণ এই কয়েকজনের মূল স্রোতে ফিরে আসা অবশ্যই অন্যান্যদের কাছেও অনুপ্রেরণা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানের জাওয়াজান প্রদেশ আইএস অধ্যুষিত বলেই পরিচিত। সেই এলাকারই ১১ জন আফগান সেনার কাছে নিজেদের আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। শেবেরগানে ঘটেছে ঘটনাটি।

আফগান পুলিশ কর্মকর্তা গুলাম আলি জানান, জাওয়াজান প্রদেশের দারজাব জেলায় আইএস এর সাথে যুক্তরা খুবই সক্রিয়। কিন্তু সরকারের সাথে আইএস-এর দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধ থেকে অব্যাহতি পেতে চায় তারা। তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চায় তারা।

আত্মসমপর্ণকারীরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, তালেবানদের সাথে আইএসের সংঘর্ষে প্রাণ যায় তাদের। আর এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়া কোনো লাভ হয় না। আর দিনে দিনে যেভাবে শক্তি ক্ষয় হচ্ছে লড়াইয়ের ক্ষমতাও কমছে বলে জানান তারা।

ভারতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে আল-কায়েদা!
ফ্রি প্রেস জার্নাল ও দ্যা ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ১৫ আগস্ট ২০১৮

ভারতে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে আল-কায়েদা। আল-কায়েদার একটি অংশ ভারতে নিজেদের শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে চলেছে। ‘আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’ নাম নিয়ে সন্ত্রাসীদের শাখাটি কাজ করেছে। সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘের এক রিপোর্টে এ বিষয়টি উঠে এসেছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সতর্কতার কারণে বিষয়টি একটু গোপনে থাকলেও, ভারতের অভ্যন্তরে যে কোনো জায়গায় সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা, এমনটাই উঠে এসেছে জাতিসঙ্ঘের সেই রিপোর্টে।


জাতিসঙ্ঘের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত ২২তম রিপোর্টে আরো জানা গেছে, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণে বর্তমানে একটু গোপনেই কাজ করছে আল-কায়েদা। নিরপত্তায় গাফিলতির সুযোগ পেলে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।’

এ মুহূর্তে এদের হাতে বিরাট অস্ত্রভাণ্ডার নেই। তবে আফগানিস্তান থেকে বেশ কয়েকশ সদস্য ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। কাশ্মীরেও কয়েকটি হামলার পেছনে এদের হাত রয়েছে। আফগানিস্তানে এদের উপস্থিতি রয়েছে লাঘমান, পাকতিকা, কান্দাহার, গজনি এবং জাবুল প্রদেশে।

আল-কায়েদার মতো আরেক সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বর্তমানে নানা চাপে খানিকটা পেছনের সারিতে চলে গেলেও ইরাক এবং সিরিয়ায় এখনও এদের ২০ থেকে ৩০ হাজার সদস্য রয়েছে, যারা যে কোনো মুহূর্তে আত্মঘাতী হামলা চালাতে প্রস্তুত রয়েছে। আফগানিস্তানেও এদের একটি শাখা স্লিপিং সেল হিসাবে কাজ করছে।


আরো সংবাদ



premium cement