২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

৪০ হাজার বছর আগে মারা গেছে ঘোড়াটি : দেহ অক্ষত

উদ্ধারকৃত ঘোড়ার মৃতদেহ নিয়ে বিজ্ঞানীরা - ছবি : সংগ্রহ

অন্তত ৪০ হাজার বছর আগে মারা যাওয়া একটি অশ্বশাবকের দেহ অক্ষত উদ্ধার করেছে সাইবেরিয়ার বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, যথাযথভাবে হিমায়িত করার কারণে এত বছর ধরে ঘোড়ার বাচ্চার দেহটি অক্ষত রয়েছে। এতটাই অক্ষত যে, সেটির পশম, কেশর, লেজ ও শরীরের ভেতরের অনেক অঙ্গ ভালো অবস্থায় আছে এখনো।

দ্য সাইবেরিয়ান টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, রাশিয়ার সাইবেররিয়া অঞ্চলের ইয়াকুতিয়া অঞ্চলে পাওয়া গেছে ঘোড়ার বাচ্চার দেহটি।  রাশিয়া ও জাপানের বিজ্ঞানী ও প্রত্মতাত্তিকদের একটি দল অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে এটি খুঁজে পেয়েছে। ভূগর্ভস্থ একটি প্রাচীণ সংরক্ষণাগারে পাওয়া গেছে সেটি।

রাশিয়ার সাইবেররিয়া অঞ্চলটি এমনিতেই শীতপ্রধান। কিছু অঞ্চলে এত বেশি বরফ পড়ে যে কোন বস্তু খোলা স্থানে পড়ে থাকলেও সহজে  নষ্ট হয়না। তবে এই ঘোড়ার বাচ্চাটি ভূগর্ভে সংরক্ষণ করার কারণে এত বছর টিকে ছিলো বলে ধারণ বিজ্ঞানীদের।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘোড়ার বাচ্চাটি মারা যাওয়ার সময় বয়স ছিলো তিন মাস বা তার সামান্য কম-বেশি। সেটির শরীরে কোন ক্ষত বা  আঘাতের চিহ্ন নেই, তাই টিক কী কারণে সেটি মারা গেছে তা বুঝতে পারছেন না তারা। রুশ বিজ্ঞানী ও ইয়াকুতস্ক নগরীর ম্যামথ  মিউজিয়ামের প্রধান সিমিয়ন গ্রিগরিয়েভ বলেন, ‘ এত নিখুঁতভাবে সংরক্ষিত প্রাগঐতিহাসিক যুগের অল্প বয়সী ঘোড়ার মৃতদেহ উদ্ধারের  ঘটনা বিশ্বে এটিই প্রথম।’

তিনি বলেন, যে স্থানে মৃত ঘোড়ার বাচ্চাটি পাওয়া গেছে সেখানকার মাটির নমুন নিয়েছি আমরা। এর মাধ্যমে ওই সময় পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা পাব। ঘোড়ার বাচ্চাটির দেহ এখনো গাঢ় ধূসর রঙের পশমে মোড়ানো, কেশর ও লেজও একই রঙের এবং এখনো রয়েছে বহাল তবিয়তে।

আরো পড়ুন : ‘বুড়ো’ হচ্ছে ভারত!

ভারতে উত্তরোত্তর বাড়ছে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা। এতটাই যে, দেশের জনসংখ্যা-বৃদ্ধির হার তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না! সামনের ৩২ বছরে দেশে প্রবীণ নাগরিকদের অনুপাত-বৃদ্ধির হারের কাছে আরও বেশি করে পিছু হঠতে হবে জনসংখ্যা-বৃদ্ধির হারকে। ২০৫০ সালে বিধবা ও অন্যের ওপর নির্ভরশীল প্রবীণ মহিলাদের সংখ্যাও ভারতে বাড়বে উদ্বেগজনকভাবে।

লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে শুক্রবার এ কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া পটেল। জানিয়েছেন, ভারতে ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকের সংখ্যা ২০৫০ সালে গিয়ে পৌঁছবে অন্তত ৩৪ কোটিতে। শুধু তাই নয়, ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের সংখ্যা এ দেশে কমছে। আর বেড়ে চলেছে ৬০ বছর পেরোনো প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা। দ্রুত হারে।


প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা তুলনায় বেশি বাড়বে দেশের কোন কোন রাজ্যে?
পটেল এও বলেছেন, সামনের ৩২ বছরে এ দেশে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা বেশি বাড়বে তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশের মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে। একই অবস্থা হবে হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র ও ওড়িষ্যার। তবে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা সেই হারে বাড়বে না।

মোটামুটি একই রকমের তথ্য, পরিসংখ্যান দিয়েছে জাতিসঙ্ঘও। জাতিসঙ্ঘের পপুলেশন ফান্ড (ইউএনএফপিএ)-এর রিপোর্ট (‘ইন্ডিয়া এজিং রিপোর্ট, ২০১৭’) জানাচ্ছে, আজ থেকে ৩২ বছর পর, ভারতে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৩১ কোটি ৬৮ লক্ষে। আর ‘হেল্পএজ-ইন্ডিয়া’র সমীক্ষাভিত্তিক পূর্বাভাস, ২০৫০ সালে এ দেশে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা হবে ৩২ কোটি ৪০ লাখ।

যার মানে, জাতিসঙ্ঘ ও ‘হেল্পএজ-ইন্ডিয়া’ আজ থেকে ৩২ বছর পর ভারতে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা যতটা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, লোকসভায় দেওয়া তথ্যের নিরিখে সেই সংখ্যা আরো দেড় থেকে আড়াই কোটি বাড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জনসংখ্যা-বৃদ্ধির চেয়ে বেশি হারে বাড়ছে প্রবীণদের অনুপাত
ভারতে জনসংখ্যা-বৃদ্ধির হার যে প্রবীণ নাগরিকদের অনুপাত-বৃদ্ধির হারের সঙ্গে লড়াইয়ে উত্তরোত্তর পিছু হঠছে, তার ছবি ফুটে উঠেছে ইউএনএফপিএ-র ‘ইন্ডিয়া এজিং রিপোর্ট, ২০১৭’-এ।

ওই রিপোর্ট বলছে, ‘২০১৫ সালে অনুপাতের নিরিখে দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ ছিলেন প্রবীণ ভারতীয় নাগরিকরা। ২০৫০ সালে জনসংখ্যার নিরিখে প্রবীণ নাগরিকদের সেই অনুপাত হবে ১৯ শতাংশ। আর ২০৯৯ সালে গিয়ে সেই অনুপাতটা হবে তখনকার জনসংখ্যার ৩৪ শতাংশ।’

জাতিসঙ্ঘের রিপোর্ট এও জানাচ্ছে, ২০০০ থেকে ২০৫০ সালে ভারতে জনসংখ্যা বাড়বে ৫৬ শতাংশ। আর এ দেশে প্রবীণ নাগরিকদের (৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ) সংখ্যা বাড়বে ৩২৬ শতাংশ। জনসংখ্যার নিরিখে ওই সময়ের মধ্যে ৮০ বছর বয়সী মানুষের অনুপাত বাড়বে ৭০০ শতাংশ।

রয়েছে ভারতের পক্ষে কিছু সুখবরও
তবে ভারতের পক্ষে রয়েছে কিছু সুখবরও। সংসদে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে দেয়া বিবৃতি ও জাতিসঙ্ঘের রিপোর্ট বলছে, ৩২ বছর পর প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যার নিরিখে চীন বা সার্ক জোটের দেশগুলোর চেয়ে কিন্তু এগিয়ে থাকবে ভারত।

‘একটি শিশু’ নীতির জন্য শিশুর সংখ্যা কমছে চীনে। তাই ২০৫০ সালে চীনের জনসংখ্যার ৩৪ শতাংশই বুড়িয়ে যাবেন। প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়বে সার্ক জোটের অন্য দেশগুলোতেও।

তার মানে, কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যার নিরিখে চীন বা সার্ক জোটের দেশগুলো থেকে এগিয়ে থাকবে ভারত। 


আরো সংবাদ



premium cement