২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ভালো মুসলিম হওয়ার আগে ভালো মানুষ হতে হয়: জাকির নায়েক

ভালো মুসলিম হওয়ার আগে ভালো মানুষ হতে হয়: জাকির নায়েক - সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত ইসলামি বক্তা ড. জাকির নায়েক বলেছেন,  ২৫ বছর ধরে আমি ‘ইসলাম ও শান্তি’ বিষয়ে বক্তৃতা করছি। কখনো সন্ত্রাসকে উৎসাহিত করিনি।  সবসময় সম্প্রীতি ও ঐক্যকে উৎসাহ জুগিয়েছি।

এক বিবৃতিতে ড. জাকির বলেন, গেল কয়েক বছরে হাজার হাজার ‘নিউজ’, ইউটিউব ভিডিও এবং সোস্যাল মিডিয়ার পোস্টে আমার কথা ব্যবহার করা হয়েছে, যা আমি বলিনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটি ইমেজে আমার ছবি ও বার্তাজুড়ে দিয়ে সেটি প্রচার করা হচ্ছে। যারা ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসেবে মনে করে না, তাদের কাছে এই ধর্ম বিশ্বাসকে দ্রুত ও নোংরাভাবে উপস্থাপন করার এটি সহজ উপায়।

তিনি বলেন, যারা এ ধরনের কিছু দেখতে পাবেন তাদের বলছি কোনো উপসংহারে পৌঁছানোর আগে এগুলো যাচাই করে নেবেন। কেননা মানবতাবিরোধী কোনো বক্তব্যে আমার নাম জুড়ে দেয়া যেকোনো কিছুই মিথ্যা। আমি বারবার বলেছি, একজন ভালো মুসলিম হতে গেলে তার আগে একজন ভালো মানুষ হতে হবে।

জাকির আরো বলেন, আমি যে হাজার হাজার লেকচার দিয়েছি সেগুলোর কোনো একটি নিয়ে কখনো অভিযোগ পাইনি। কিন্তু ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে এক দল ধর্মীয় উগ্রবাদীরা আমার চরিত্র হরণের চেষ্টা চালায়।

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী নাগরিকত্ব পেয়েছেন জাকির নায়েক
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ৭ জুলাই ২০১৮

মালয়েশিযার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মদ বলেছেন, ‘যতদিন পর্যন্ত জাকির নায়েক মালয়েশিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি না করছেন, ততদিন তাঁকে ভারতে ফেরানোর কথা ভাবছে না মালয়েশিয়া সরকার। কারণ নায়েককে ইতিমধ্যেই স্থায়ী নাগরিকত্ব দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।  জাকির এদেশে আসার পর কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি৷ স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়ার পর তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না৷’

সম্প্রতি ভারতে ফিরছেন ড. জাকির নায়ক- এমন খবর দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ খবরের প্রতিক্রিয়ায় ড. জাকির নায়েক বলেছেন, এই মুহূর্তে আমি ভারতে ফিরছি না। ভারত এখন আমার জন্য নিরাপদ না। যদি কখনো মনে করি ভারত সরকার আমার সাথে সঠিক বিচার করছে তখনই আমি দেশে ফিরব। 


দুই বছর আগে বাংলাদেশে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই ধর্মপ্রচারক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তার বক্তব্য শুনে নাকি উৎসাহ পেয়েছে জঙ্গিরা। তবে এ অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় পিস টিভির সম্প্রচার। ভারতেও ব্যাপক সমালোচনায় মুখে তিনি দেশ ছেড়ে আশ্রয় নেন মালেশিয়ায়।

২০১৬ সালে বাংলাদেশের ঢাকার গুলশানে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের কয়েকজন জাকির নায়েকের প্রচারে প্রভাবিত হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠলে তিনি ওই অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ‘আমি শান্তির দূত, কখনো সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করিনি।’ তিনি সন্ত্রাসবাদকে নিন্দা করেন এবং 'ইসলামে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই' বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে তিনি 'মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার' হচ্ছেন বলেও জাকির নায়েক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। জাকির নায়েক সেই থেকেই বিদেশে আছেন এবং বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।

পিস টিভি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জাকির নায়েক তার বক্তব্য ও মতামত প্রচার করতেন। বিশেষ করে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিষয়ক তার বক্তব্যগুলো ছিল অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ। তার বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে সারা বিশ্বের প্রচুর অমুসলিম ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। 

সিঙ্গাপুরের রাজারত্মম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাডিজের বিশ্লেষক রাশাদ আলী বলেছেন, মালয়েশিয়া সরকার জাকির নায়েকের থাকার ব্যবস্থা করেছে, কারণ যৌক্তিকতার সঙ্গেই মালয়দের মধ্যে জনপ্রিয় চরিত্র হয়ে আছেন। এ অবস্থায় সরকার যদি তাকে দেশ থেকে বের করে দেয় তাহলে তা জনগণের দৃষ্টিতে ধর্মীয় বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

পাঁচ বছর আগেই মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে জাকির নায়েককে। এ সময়ের মধ্যে তিনি দেশের আইন বা শৃঙ্খলা ভাঙেননি। এ ছাড়া ভারতের পক্ষ থেকে তার সম্পর্কে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ নিয়ে মালয়েশিয়াকে কিছু জানানো হয়নি। ফলে তাকে আটক বা গ্রেফতারের কোনো কারণ নেই। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার বিরোধী দল ইসলামিক পার্টিও জাকির নায়েককে সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছে এবং কোনো বিদেশী সরকারের হাতে তাকে তুলে না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

জাকির নায়েকের সাথে দেখা করলেন মাহাথির মুহাম্মদ

০৮ জুলাই ২০১৮

মালয়েশিয়া জাকির নায়েককে ভারতে পাঠাবে না ঘোষণা দেয়ার একদিন পর তার সাথে দেখা করলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। ভারতের হাতে জাকির নায়েককে সোপর্দ করার দাবি জানানো হলে তা খারিজ করে দেয় মালয়েশিয়া।

মালয়েশিয়ান গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, জাকির নায়েককে ভারতে পাঠানো হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন খোদ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, জাকির মালয়েশিয়ায় আসার পর কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। তাই তাকে এদেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান তিনি। এরপর শনিবার ইসলামি চিন্তাবিদের সাথে দেখা করেন মাহাথির মোহাম্মদ। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমেও দুজনের একত্রে ছবি দেখা যায়।


এর আগে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডা. মাহাথির মোহাম্মাদ বলেন, ভারত সরকারের অনুরোধ সত্ত্বেও খ্যাতিমান ইসলামি বক্তা জাকির নায়েককে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে না।

 এর একদিন আগেই ভারত জানিয়েছে, তারা জাকির নায়েককে ফেরত পেতে মালয়েশিয়ার কাছে অনুরোধ করেছিলো। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মাহাথির বলেন, যতক্ষণ তিনি কোনও সমস্যা তৈরি করছেন না, ততক্ষণ আমরা তাকে ফেরত পাঠাবো না। কারণ তাকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

যদিও আগের দিন আগে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেছিলেন, ‘এই পর্যায়ে আমাদের অনুরোধ মালয়েশিয়ার বিবেচনায় রয়েছে। কুয়ালালামপুরে আমাদের হাই কমিশন বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত মালয়শিয়া কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছে।’


ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে জাকির নায়েককে ফেরত পাঠানোর সংবাদ প্রকাশের পর তিনি এটিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। জাকির নায়েক বলেছেন, ‘এখবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ভুয়া। অন্যায় বিচার থেকে নিরাপদ বোধ না করার পর্যন্ত দেশে ফেরার কোন পরিকল্পনা নেই আমার’।

৫২ বছর বয়সী জাকির নায়েক এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। গত বছর ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরায় উগ্রবাদীদের হামলায় জড়িতদের অন্তত দুইজন টেলিভিশন বক্তা জাকির নায়েককে অনুসরণ করতো এমন খবর প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়। ওই বছর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে ভারত ছেড়ে যান তিনি। কিছুদিন সৌদি আরবে থাকার পর মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। মালয়শিয়া সরকার তাকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দিয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এই বছরের জানুয়ারিতে তাকে ফেরত পাঠাতে মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানায় ভারত। দেশ দুটির মধ্যে প্রত্যার্পণ চুক্তি রয়েছে।

বুধবার ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়,ওই দিনই তাকে মালয়েশিয়া থেকে ভারত ফিরিয়ে আনা হবে। এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জাকির নায়েক বলেন, আমার ভারতে ফিরে আসার খবর ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। অবিচার থেকে নিরাপদবোধ করার আগ পর্যন্ত ভারতে ফেরার কোনও পরিকল্পনা আমার নেই।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় ভারতে। জানুয়ারিতে তার নামে জারি হয় সমন। এরপর আরও তিনবার সমন জারি হয় তার বিরুদ্ধে। তবে জাকির নায়েক ভারতে ফেরেননি। ভারত সরকার তার প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল