২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সাড়ে ছয় শ’ হজযাত্রীর ভিসার আবেদন জমা পড়েনি

সাড়ে ছয় শ’ হজযাত্রীর ভিসার আবেদন জমা পড়েনি - ছবি : সংগৃহীত

সময় বাড়ানোর পরও সাড়ে ছয় শ’ হজযাত্রীর ভিসার আবেদন জমা পড়েনি। ফলে এসব ব্যক্তি এ বছর হজে যেতে পারছেন না। ১৫ শতাংশ রিপ্লেসমেন্ট দেয়ার পরও এসব হজযাত্রী এজেন্সিগুলোর গাফিলতি নাকি নিজেরাই হজে যাচ্ছেন না তা এখনো জানা যায়নি। এর আগে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আরো চার শ’ হজযাত্রী নিবন্ধনই করেননি। এতে এ বছর কোটা থাকার পরও এক হাজারেরও বেশি হজযাত্রী হজে যেতে পারছেন না। 

এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট হজযাত্রী কোটা নির্ধারিত হয় এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। বিগত বছরগুলোতে সরকারি কোটা ১০ হাজার রাখলেও পর্যাপ্ত হজযাত্রী না পাওয়ায় শেষের দিকে কিছু হজযাত্রী বেসরকারি কোটায় দিয়ে দিতে হয়। এতে বেশ ঝামেলা দেখা দেয়। এ কারণে এ বছর আগেভাগেই সরকারি কোটা কমিয়ে সাত হাজার ১৯৮ জন করা হয়। আর বেসরকারি কোটায় দেয়া হয় এক লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী। কিন্তু চূড়ান্ত নিবন্ধনের পর দেখা যায়, এ কোটাও পূরণ করতে পারেনি সরকার। সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ছয় হাজার ৭৯৮ জন নিবন্ধন করেন। কিন্তু বাকি কোটা আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছেড়ে দেয়া হয়নি। এতে চার শ’ কোটা খালি থেকে যায়। 

গত ৭ আগস্ট পর্যন্ত সর্বশেষ ভিসা দেয়া হবে বলে সৌদি দূতাবাস সময় নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু এরপর দুই দিন সময় বাড়িয়ে গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভিসার আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু গতকাল নির্ধারিত সময় শেষে দেখা যায়, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ভিসা হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ৩৬৮ জনের। ফলে বেসরকারি ব্যবস্থাপায় কোটা খালি রয়েছে ৬৩২ জনের। এ ছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপনায় ভিসা হয়েছে ছয় হাজার ৭৮৩ জনের। এখনো বাকি আছে ১৫ জনের। এতে মোট কোটা খালি রয়েছে ৬৪৭ জনের। এর আগে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আরো চার শ’ কোটা খালি থাকায় এ বছর মোট কোটা খালি থেকে যাচ্ছে এক হাজার ৪৭ জনের। 

এ ব্যাপারে হজ অফিসের পরিচালক মো: সাইফুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, হজের ভিসার জন্য গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডিও প্রদান করা হয়েছে। এরপর আর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। ফলে বাকিদের আর এ বছর হজে যাওয়ার সুযোগ থাকছে না। 

গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ২৯১টি ফাইটে মোট ৯৯ হাজার ৩৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশের ১৪৩টি ফাইটে ৫১ হাজার ২৮৪ জন এবং সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ১৪৮টি ফাইটে গেছেন ৪৮ হাজার ৭৯ জন হজযাত্রী। এতে হজযাত্রী পরিবহন বাকি থাকে ২৭ হাজার ৪৩৫ জন। তবে গতকাল সকাল ৯টার পর বিমান বাংলাদেশের আরো চারটি ফাইটে এক হাজার ৪২৩ জন এবং সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের আরো দুটি ফাইট সৌদি আরবে যায়। 

এ দিকে যেসব এজেন্সি তাদের সব হজযাত্রীর ভিসার জন্য ডিও সংগ্রহ করেনি তাদেরকে বাকি থাকা হজযাত্রীরা হজে যাবেন না মর্মে তালিকা করে হজ অফিসে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল এক আদেশে হজে অংশগ্রহণকারী ৫২৮টি এজেন্সিকে হজ অফিসের পরিচালক এ নির্দেশ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement