২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ যেখানে নারীর হাতে

নারী
গত অর্ধশতকে অন্তত একবছর করে হলেও ১৪৬ দেশের মধ্যে ৫৬টি জাতি একজন নারী রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রধান পেয়েছে। - ছবি : বিবিসি

সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেকর্ড সংখ্যায় নারীরা নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছে- যা বৈশ্বিক রাজনীতির চেহারা পাল্টে দিচ্ছে এবং জাতীয় আইনসভায় লিঙ্গ সমতা আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটিয়েছে।

মেক্সিকোর সাম্প্রতিক নির্বাচনে দেশটির পার্লামেন্টে দুটি কক্ষেই সমান সংখ্যায় নারী ও পুরুষ এমপিরা নির্বাচিত হয়েছে যে ঘটনা একটি ‘বড় মাইলফলক’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

স্পেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের পর এই প্রথম দেশটির মন্ত্রিসভায় পুরুষদের চেয়ে বেশি সংখ্যায় নারীদের মনোনীত করা হয়েছে গত জুন মাসে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন গত ২১ জুন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন । এর মধ্য দিয়ে তিনি হলেন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মা হওয়া দ্বিতীয় কোনো নারী। এর আগে দায়িত্ব পালনকালে মা হওয়া প্রথম ব্যক্তি ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো।

২০১৮ সাল : বিশ্বে ১১ জন নারী বিভিন্ন দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই এখনো কোন নারী নেতৃত্ব নেই। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বে ১১ জন নারী নেতা রয়েছে যারা নিজ নিজ দেশের সরকার প্রধান। এর সাথে যদি ‘হেডস অব স্টেট’ অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় প্রধান ব্যক্তিদের নাম যোগ করা হয় তাহলে এই সংখ্যা হবে ২১।

২০১৭ সালে পিউ রিসার্চের এক গবেষণা মোতাবেক, গত অর্ধশতকে অন্তত একবছর করে হলেও ১৪৬ দেশের মধ্যে ৫৬টি জাতি একজন নারী রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রধান পেয়েছে।

এর মধ্য ৩১টি দেশের নারী প্রধানদের শাসনকাল পাঁচবছর মেয়াদী কিংবা তারও কম সময়, এবং ১০টি দেশে কেবল একবছরের মেয়াদ।

বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নারী সরকারপ্রধান জার্মানির অ্যাঞ্জেলা মের্কেল। ২০০৫ সালে এই জার্মান নেতা দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সরকার প্রধান হিসেবে তার তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছেন।

এর বাইরে অন্যান্য নারী সরকার প্রধানদের মেয়াদ পাঁচ বছর বা তারও কম সময়ের। নিউজিল্যান্ডের জেসিন্ডা আরডের্ন, আইসল্যান্ডের নেতা কাটরিন জ্যাকবসডোত্তির এবং সার্বিয়ার আনা বার্নাবিক এরা সবাই ২০১৭ সালে নির্বাচিত হন।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এর্না সোলবার্গ নির্বাচিত হন ২০১৩ সালে। নামিবিয়াতে ২০১৩ সালে দায়িত্ব নেন সারা কুগংগেলাওয়া।

ব্রিটেনের টেরিজা মে ২০১৬ দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম লেখান। একইবছর অং সাং সু চি মিয়ানমারে দায়িত্ব নেন।

২০১৮ সালে নির্বাচিত ভিওরিকা ড্যান্সিলা রোমানিয়ার ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। মিয়া মোটলি ২০১৮ সালে বার্বাডোজের প্রথম নারী প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন।

তবে কি ২০১৮ সাল নারীর ক্ষমতায়নের দিক থেকে সর্বকালের সেরা বছর হতে যাচ্ছে?
হোয়াইট হাউজের নেতৃত্বের লড়াইয়ে হিলারি ক্লিনটন হেরে যাওয়া একবছর পর সেখানে আরও অনেক নারী আছে যারা সরকারি বিভিন্ন দফতর চালাচ্ছে যা যুক্তরাষ্ট্রে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

জুন মাসে নিউইয়র্ক জেলার প্রাইমারি ভোটে মিলেনিয়াল ডেমোক্রেট প্রার্থী আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কোর্তেজের কাছে আসন হারান নামকরা কংগ্রেসম্যান ৫৬ বছর বয়সী জো ক্রাউলি।

২৮ বছর বয়সী এই নারীর বিজয় ছিল আরও আশ্চর্যজনক কেননা তার কোনধরনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিলনা। সেইসাথে এমন একজন প্রার্থীর বিপক্ষে তিনি ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন যে কিনা ১০ বার নির্বাচিত ছিলেন এবং দলের একজন ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে মনে করা হয়।

সেন্টার ফর আমেরিকান উমেন অ্যান্ড পলিটিক্স-এর সর্বশেষ হিসেব অনুসারে, ২০১২ সালের রেকর্ড সংখ্যক ২৯৮ জন নারীর জায়গায় গত ৯ই জুলাই তারিখ পর্যন্ত সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪৭০ জন, যাদের বেশিরভাগই ডেমোক্র্যাট দলের তারা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে গেছে।

ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফরিদা জালালযাই মনে করেন, নারীদের মধ্যে যে ঢেউয়ের দোলা লেগেছে তার আংশিক কারণ হিলারি ক্লিনটনের পরাজয়, কিন্তু আরও ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপছন্দ করার বিষয়টি।

তিনি বলছেন, এই বছরে কংগ্রেসে মেয়েদের ভালো কাজ করার সুযোগ রয়েছে সাধারণত নারী প্রার্থীদের সংখ্যা এবং চূড়ান্ত বিজয়ীদের সংখ্যা সব সময় একরকম হয় না। তবে আমি অবাক হবো যে, যদি নারীদের হার কমপক্ষে ২ কিংবা ৩% না বাড়ে।

কিন্তু বর্তমানে মার্কিন কংগ্রেসের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ কেবল ২০% নারী প্রতিনিধিত্ব আছে । অর্থাৎ নারী-পুরুষের লিঙ্গগত সমতা আনতে চাইলে এখনো আরও বহু পথ পাড়ি দিতে হবে।

ইউরোপের চিত্র কী?
ইউরোপের ১৭টি দেশের (মোনাকোসহ) জাতীয় আইনসভার ৩০ শতাংশের বেশি সদস্য নারী।

২০১৭ সালে পৃথিবীর নানা দেশে নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যায় নারী ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তখন তেমন বড় ধরনের কোনো সাফল্য ছিল না। নারী এমপিদের সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে যায় ইউরোপ, কিন্তু একইসঙ্গে বড় ধরনের পরাজয়ের রেকর্ডও গড়ে।

২০১৭ সালের জুন মাসে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে রেকর্ড সংখ্যায় নারীদের নির্বাচিত করা হয়, ন্যাশনাল এসেম্বলির ৫৭৭ পদের মধ্যে ২২৩টি পায় নরীরা।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেয তার ১৭ জনের শক্তিশালী মন্ত্রিসভা সদস্যদের মধ্যে ১১ জনই বাছাই করেছেন নারীদের মধ্য থেকে। তিনি বলেন তার নতুন মন্ত্রিসভা ‘সেই একই দৃষ্টিভঙ্গি বহন করে যেখানে প্রগতিশীল সমাজের কথা ভাবা হচ্ছে যা একসঙ্গে আধুনিক এবং প্রো-ইউরোপিয়ান।’

সাম্প্রতিক বছরে রাজনীতিতে নারীদের অর্জন বিরাট
সারাবিশ্বের প্রায় সবদেশেই নারী সংসদ সদস্যদের সংখ্যা বেড়েছে ১৯৯৭ সাল থেকে যখন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন বা আইপিইউ ভোটের ফলাফল মিলিয়ে দেখা শুরু করলো।

দুই দশক আগে কেবল সুইডেন, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডসের ৩০%-এর বেশি নারী সংসদ সদস্য ছিল। এর মধ্যে সুইডেন ৪০.৪% সদস্য নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিল।

২১ বছর পরে, তালিকার শীর্ষে থাকা দেশগুলোর ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র্য এসেছে এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোকে টপকে যায় রুয়ান্ডা এবং মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশ ।

বলিভিয়া, গ্রেনাডা, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা এবং কিউবার ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ এগুলো সবই শীর্ষ দশম অবস্থানে আছে যেখানে নারী সংসদ সদস্য সংখ্যা ৪০% শতাংশের বেশি।

কিন্তু আইপিইউ এর জেন্ডার পার্টনারশিপ কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা যেইনা হিলাল বলেন, নারী ও পুরুষের সমান প্রতিনিধিত্বের অগ্রগতির ধারা গেল দুই কিংবা তিন বছরে স্থির হয়ে আছে বলে মনে হয়।

‘আমরা হতাশ এবং কিছুটা বিস্মিত হয়েছি কারণ কিছুবছর আগে অগ্রগতির হার ছিল প্রায় ০.৬%। কিন্তু ২০১৬ ও ২০১৭ পরপর দুইবছর অগ্রগতির হার ছিল ০.১% । এটা সত্যিই উদ্বেগের।’

আইপিইউ ধারণা করছে, যদি বর্তমান এই ধারা চলতে থাকে, তাহলে পার্লামেন্টে নারী-পুরুষ জেন্ডার সমতা অর্জনে কমপক্ষে আড়াইশো বছর সময় লেগে যাবে।

জেন্ডার কোটা কতটা কার্যকর?
যেসব দেশ সংসদে বড় সংখ্যায় নারী প্রতিনিধি পেয়েছে তারা লিঙ্গ কোটা চালু করেছে। আর্জেন্টিনা প্রথম দেশ যারা নরীদের জন্য যে মিনিমাম টার্গেট সেট করে ১৯৯১ সালে এক আইন প্রণয়নের মাধ্যমে।

আইপিইউ বলছে, ২০টি দেশে মেয়েরা ৩০% আসন পেয়েছে সেস দেশে ২০১৭ সারে কোটা চাল করা হয়। যেসময় ১৬টি দেশে কোনও কোটা চালু করা হয়নি সেখানে ১৫.৪% সিট নারীদের দখলে।

ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রধান অধ্যাপক সুসান ফ্রাঞ্চেসচেট বলেন, ‘আমার মনে হয় দশকের পর দশক ধরে আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে, যদি তারা বাধ্যতামূলক না করে তবে দলগুলি মহিলা প্রার্থীদের নির্বাচন করবে না বা যেভাবে অনেক নারী প্রার্থী আমরা চাই তা হবেনা। অনেক নারী প্রার্থী আমরা চাই না।’

প্রধানত দুই ধরনের কোটা-বিধান রয়েছে। যেখানে কোন দেশ নির্দিষ্ট সংখ্যক নারী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত না হলে আইন দ্বারা শাস্তিযোগ্য করে তোলে - এবং স্বেচ্ছাসেবী পার্টি কোটা, যেমনটা যুক্তরাজ্যে রয়েছে যেখানে লেবার পার্টি নারী কোটা যেমন যুক্তরাজ্যে শ্রম পার্টি শুধু মহিলাদের নিয়ে শর্ট-লিস্ট চালু করেছে ।

প্রফেসর ফ্যাঞ্চেসসেট বলেন, কোটা পদ্ধতি কোনো বিশেষ পার্থক্য তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে এমন দেশের সংখ্যা খুব কম। কিন্তু ব্রাজিল তার একটি। বর্তমান দেশটির প্রতি ১০ জন এমপির একজন নারী। বাজে আইনকে দোষারোপ করে এ অধ্যাপক বলেন, কোটাকে অমান্য করার শাস্তি যথেষ্ট কঠোর নয়।

সবেচেয়ে বেশি নারী প্রতিনিধি থাকা দেশের তালিকায় শীর্ষে রুয়ান্ডা
আইপিইউ কেবল তিনটি দেশকে তালিকাভুক্ত করেছে যাদের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ রয়েছে এবং সেখানে ৫০%-এর বেশি প্রতিনিধি নারী। তারা হচ্ছে রুয়ান্ডা, কিউবা এবং বলিভিয়া। মেক্সিকো ৪৮.৬%-এর নিচে।

অন্যান্য দেশের তুলনায় রুয়ান্ডার আইনসভায় মহিলাদের উচ্চ অনুপাতের কারণে এগিয়ে আছে রুয়ান্ডা। দেশটির সংবিধানে ২০০৩ সালে পরিবর্তন আনা হয় এবং ৩০ শতাংশ আস নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়। এরপর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে আরও অনেক বেশি নারী এসেছে।

১৯৯৪ সালে গণহত্যার পর আইনটি পরিবর্তিত হয় যে গণহত্যায় ৮ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয় বলে মনে করা হয় যাদের বেশিরভাগই পুরুষ। নারীদের এরপর দেশ গঠনের অংশ হিসেবে অনেক নতুন নতুন ক্ষেত্রে দায়িত্ব নিতে হয় ।

রুয়ান্ডা বর্তমানে আফ্রিকা মহাদেশে দ্রুত ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ। যদিও এর সাবেক নেতা পল কাগামে বিরোধী দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সমালোচিত।

মিস হিলাল জোর দিয়ে বলেন, রুয়ান্ডা হচ্ছে সফলতার উদাহরণ। পার্লামেন্টে নারীর সংখ্যা বেশি থাকার বৃহত্তর প্রভাব আছে-উদাহরণস্বরূপ উত্তরাধিকার আইনের পরিবর্তন করা হয়েছে ফলে এটা নারীদের জন্য আর বৈষম্যমূলক নয়।

তিনি বলেন, ‘এটা কোন জাদুকরী সমাধান নয় কিন্তু নিশ্চিতভাবে আমরা দেখছি যে, যখন সংসদে নারীরা থাকে তখন অনেক ইস্যু আছে যা রাজনৈতিক এজেন্ডাতে স্থান পায়।’

শীর্ষস্থানীয় অন্য চারটি দেশের মধ্যে দুটি হচ্ছে বলিভিয়া এবং মেক্সিকো। তাদেরও জেন্ডার কোটা রয়েছে।

কোন দেশের নারী প্রতিনিধি সংখ্যা সবচেয়ে কম?
নারী প্রতিনিধিত্বের দিক থেকে সবচেয়ে খারাপ রেকর্ডস আছে যেসব দেশের তার মধ্যে ইয়েমেন, ওমান, হাইতি, কুয়েত, লেবানন এবং থাইল্যান্ড- এসব দেশের নারী এমপিদের হার ৫ শতাংশ বা তারও কম।

অনেক ছোট দ্বীপরাষ্ট্র রয়েছে যাদের কোন নারী সংসদ সদস্য নেই যেমন ভানুয়াতু, মাইক্রোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি। আবার এল সালভাদর এবং সিয়েরালিওন-এর মতো দেশ আছে যেখানে আসলে প্রকৃত কজন নারী সংসদ সদস্য আছেন তা অজানা।

ইংলাক সিনাওয়াত্রা ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন এবং ইতিহাস রচনা করেন।

তখন থাই পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ ১৬ শতাংশ এমপি ছিলেন যাদের একজন ছিলেন ইংলাক সিনাওয়াত্রা। কিন্তু ২০১৫ সালে দুর্নীতির দায়ে তাকে ইমপিচ করা কয় এবং তিনি দেশত্যাগ করেন। এরপর থেকে নারী এমপিদের সংখ্যা ৫ শতাংশে নেমে আসে।

ইয়েমেনের পার্লামেন্টে ৩০১ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র একজন নির্বাচিত নারী প্রতিনিধি আছেন। ৩০ শতাংশ কোটা প্রবর্তনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ।

অধ্যাপক ফ্রান্সেসেট বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে লিঙ্গ সমতা একটি ‘বাস্তবসম্মত এবং গুরুত্বপূর্ণ উচ্চাভিলাষ’ কিন্তু তা অর্জন করার পথে অনেক দেশ এখনো অনেকটাই পিছিয়ে আছে।

‘আমি আশাবাদী যে যেসব দেশে নারীদের অগ্রগতি ধীরে ধীরে হচ্ছে তারা চাইলে রাজনৈতিক দল, এবং রাজনৈতিক নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে নারী প্রার্থীদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করতে। নারী সংগঠনগুলোর অব্যাহত চাপ প্রয়োগ ছাড়া তা সম্ভব বলে আমি মনে করি না।’


আরো সংবাদ



premium cement