বাচ্চাকে থাপ্পড় মারলেন খ্রিষ্টান ধর্মযাজক (ভিডিও)
- ডেইলি মেইল
- ২১ জুন ২০১৮, ২১:৪৯
একটি বাচ্চাকে তার আত্নীয়রা খ্রীষ্টানদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে একজন পাদ্রীর কাছে নিয়ে আসেন। এসময় বাচ্চাটি অনবরত কান্না করছিল। পাদ্রী বাচ্চাটিকে শান্ত করার চেষ্ঠা করছিলেন। কিন্তু বাচ্চাটির কান্না কোনভাবেই থামছিল না। পাদ্রী নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। আর বাচ্চাটির গালে বাম হাত দিয়ে চড় মারেন।
এমন ঘটনার সময় সম্ভবত তার বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন। তারা এঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান এবং বাচ্চাটিকে জোড় করে পাদ্রীর কাছ থেকে নিয়ে আসেন।
এই ভিডিও ফুটেজটি কখন ধারণ করা হয়েছিল তা জানা যায়নি। কিন্তু এটি ফ্রান্সের কোন একটি চার্চের অনুষ্ঠান চলাকালীন ঘটনা বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। আর পাদ্রীকেও ফরাসি বলেই মনে হয়েছে।
ভিডিওটির শুরুতে দেখা যায়, একজন নারী সম্ভবত বাচ্চাটির মা তাকে কোলে নিয়ে সাদা গাউন পরিহিত পাদ্রীর পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। যিনি ব্যাপ্টিসমল (খ্রীষ্টধর্মের দীক্ষাসংক্রান্ত) অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন।
এটা খুব ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছিল যে বাচ্চাটি এসব কাজ উপভোগ করছিল না। বাচ্চাটি খুব জোড়ে কান্নাকাটি করছিল।
এসময় পাদ্রীকে বিরক্তিকর অবস্থায় দেখা যাচ্ছিল। তিনি উচ্চস্বরে কথাবলে বাচ্চাটির কান্না থামানোর চেষ্ঠা করছিলেন। সরাসরি বাচ্চাটির সাথে কথা বলে তার কান্না বন্ধ করতে চাচ্ছিলেন।
এই অবস্থায়ও বাচ্চার বাবা-মা হাসিমুখেই বাচ্চাটিকে পাদ্রীর কোলে বাচ্চার মাথা রাখতে দিলেন। আর বাচ্চাটি এই অবস্থায় থাকতে চাচ্ছিলনা সে তার ডানটি বার বার ছুড়ে মারছিল।
বাচ্চাটির মাথা পাদ্রীর কোলে রেখে বলছিলেন তিনি বলছিলেন, শান্ত হও, শান্ত হয়ে যাও, তোমাকে অবশ্যই শান্ত হতে হবে।
তরপরেও বাচ্চার কান্না থামার কোন লক্ষণ দেখা গেল না। এবার পাদ্রীকে রাগান্বিত অবস্থায় দেখা গেলো। তিনি বাচ্চাটির চেহারা হাত দিয়ে ধরলেন এবং তার চোখের দিকে তাকালেন। এমন সময় পাদ্রী তার বাম হাত দিয়ে বাচ্চাটির গালে কষে চড় মারলেন।
পাদ্রীর হঠাৎ আক্রমণে বাচ্চাটির কান্না আরো তীব্রতর হলো। তার বাবা-মা এমন ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গেলেন। অন্য আরেকজন নারী পাদ্রীকে শান্ত করতে এগিয়ে আসলেন।
উপস্থিত দর্শকরা এঘটনার পর পাদ্রীকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করলেন, এখানে আপনার নিজেকে শান্ত করতে হবে। এখানে আপনার নিজেকে নিজেরই শান্ত করা উচিত।
তাদের পাশে দাঁড়ানো একজন পুরুষ যাকে বাচ্চার বাবা বলে মনে হচ্ছিল, তিনি এগিয়ে আসলেন এবং বাচ্চাটিকে পাদ্র্রীর হাত থেকে নিজের কাছে নিয়ে গেলেন।
কিন্তু এই অবস্থায়ও পাদ্রীকে অনুতপ্ত বা তার কৃতকর্মের জন্য কোন অনুশোচনা করতে দেখা যায়নি।
আরো দেখুন : গর্ভপাত নাৎসি জমানার অপরাধের সমান: পোপ ফ্রান্সিস
কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বক্তব্যে ভ্যাটিকানের আর্জেন্টাইন পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, গর্ভপাত ‘ভয়ঙ্কর’। এটি সংস্কৃতিবিরোধী। বার্থ ডিফেক্টের আঁচ পেয়ে গর্ভপাত করানো নাৎসিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের সাথে তুলনীয়। সন্তানের জন্মগত কোনো শারীরিক দুর্বলতা থাকতেই পারে, এই ভয়ে যাঁরা গর্ভপাত করান, তাঁরা নাৎসি জমানার জন্ম নিয়ন্ত্রণের মতোই কুকীর্তি করেন।
রোমান ক্যাথলিক চার্চের সংরক্ষণশীল প্রতিনিধিরা তাঁকে গর্ভপাতের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কোনো মন্তব্য না করতে অনুরোধ করেছিলেন।তবে সে নিষেধাজ্ঞা মানেন নি পোপ। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, শুধু খাবার ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা পূরণের জন্যই সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানো হচ্ছে না। এর কড়া বিরোধিতা করেন তিনি। এর আগেও পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট ও দ্বিতীয় জন পল গর্ভপাতের বিরুদ্ধে একই ধরনের অবস্থান নিয়েছিলেন।
তিনি সমালোচনা করে বলেন গর্ভাবস্থাতেই বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুর জন্মত্রুটি শনাক্ত করা হচ্ছে। তারপরেই গর্ভপাতের মধ্য দিয়ে ত্রুটিযুক্ত শিশুর জন্ম ঠেকানো হচ্ছে। কনফেডারেশন অব ইতালিয়ান ফ্যামিলি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে গর্ভপাতের সঙ্গে নাৎসিদের অপরাধের তুলনা করেন পোপ ফ্রান্সিস। তার মতে, দুর্বলদের শেষ করে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে নাৎসিরা যে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়েছিল, এটি তারই সমতুল্য।
পোপ বলেন, ‘শিশুরা যেভাবে পৃথিবীতে আসে, ঈশ্বর যেভাবে তাদের পাঠান, ঈশ্বর যেভাবে তাদেরকে অনুমোদন করেন, তাদেরকে সেভাবেই আমাদের গ্রহণ করা উচিত; এমনকি তারা যদি অসুস্থ হয়, তখনও।
তিরিশের দশকে, নাৎসি শাসনকালে প্রজনন কর্মসূচির আওতায় ইহুদি এবং অন্যান্য সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠীর কয়েক লাখ মানুষের প্রজনন সক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, জোর করে। পরবর্তী প্রজন্মে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম রুখতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছিল। সেই সময়ের সঙ্গে গর্ভপাতকে তুলনা করেন পোপ ফ্রান্সিস।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা