২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
বুধবার বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ হতে পারে

পাহাড়িয়া অঞ্চলের ভূমিধ্বসের পূর্বাভাস

পাহাড়িয়া অঞ্চলের ভূমিধ্বসের পূর্বাভাস - সংগৃহীত

সারাদেশে মওসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়িয়া অঞ্চলে ভূমিধ্বসের সৃষ্টি হতে পারে। একই সাথে কয়েকটি এলাকার নদী উপচে বন্যাও সৃষ্টি হতে পারে। ইতোমধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ স্থানে নদী বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট বিভাগের কয়েকটি নদীর পানি সর্বোচ্চ ২২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদীর তীরবর্তি এলাকায় পানি ঢুকে গেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রবল মওসুমী বায়ুর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে বরিশাল, চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার থেকে ৮৯ মিলিমিটারের অধিক অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ী এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক এডমিনিস্ট্রেশনের (নোয়া) রিয়েল টাইম ভূমিধ্বসের পূর্বাভাসে দেয়া হয়। নোয়ার তথ্য অনুসারে আগামী ৪৮ ঘন্টায় চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেণার পাহাড়িয়া এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণে ভূমিধ্বসের সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ৪৮ ঘন্টায় এসব এলাকার বিশেষ বিশেষ স্থানে ২০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।

স্যাটেলাইটের চিত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, মওসুমী বায়ু দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে প্রায় উলম্বভাবে চ্ট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প বহন করে পাহাড়িয়া এলাকায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে উপরের দিকে উঠে ঘন মেঘ তৈরী করছে। এই ঘন মেঘ থেকে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। কক্সবাজারের পাহাড়ে বসবাসকৃত রোহিঙ্গারা ভারী বর্ষণে অত্যন্ত ঝুঁকির রয়েছে। কারণ ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের বসবাসকৃত পাহাড়ের ধ্বস দেখা দিয়েছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি অবাহিকার নদী সাঙ্গু ও মাতামুহরির পানি আগামী ২৪ ঘন্টায় দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার কিছু স্থানে স্বল্প মেয়াদি আকষ্মিক বন্যা হতে পারে। এছাড়া উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সুরমা, কুশিয়ারা ও মনু নদীর পানিও বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

কানাইঘাটে সুরমা, আমলশীদে কুশিয়ারা, সারিঘাটে সারিগোয়ান নদীর পানি বুধবার যথাক্রমে ৫৪৪, ৪৬৩ ও ৫৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া মনু রেলওয়ে ব্রীজ ও মৌলভীবাজারে মনু, বাল্লা ও হবিগঞ্জে খোয়াই, কমলঘঞ্জে ঢালাই, পরশুরামে মুহরী নদী, নারায়নহাট ও পাাঁচপুকরিয়ায় হালদা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত দেশের ৫৩ স্থানের নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement