হুমকি-পাল্টা হুমকি, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে উত্তেজনা
- রয়টার্স
- ৩১ মে ২০১৮, ১৪:০৮
চীনের ওপর নতুন করে আমদানি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিং যদি মার্কিন মেধাসত্ত্ব চুরি হওয়ার ইস্যুগুলো ঠেকাতে না পারে তবে চীন থেকে আমদানিকৃত ৫ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে।
গত ২২ মার্চ ৫০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের আমদানিকৃত চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপের জন্য একটি আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিযোগ, চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মেধাসম্পদ চুরি ও স্থানান্তর করছে। জবাবে এপ্রিলের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ১২৮টি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করে চীন।
এর আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। এ পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর উপক্রম হয়। এ মাসে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। সে সময় চীনের পণ্যে বাড়তি কর চাপাবে না,এমন প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার আবার দেশটির পণ্যসামগ্রীতে বাড়তি কর আরোপের হুমকি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস চীনকে সতর্ক করে বলে, শুল্ক আরোপের হুমকি এখনও বহাল রাখা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৫ জুনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত কোন কোন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে তার একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে চীনা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করবে ওয়াশিংটন। পাশাপাশি চীনে পণ্য রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। ৩০ জুনের মধ্যে বিনিয়োগ ও রফতানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে তারা। চীন জানিয়েছে, তারা তাদের স্বার্থজনিত সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন রণতরী, পাল্টা পদক্ষেপ চীনের
বিবিসি
ক্ষেপণাস্ত্র-বাহী জাহাজ- ইউএসএস হিগিনস এবং ক্রুজার অ্যান্টাইট্যাম দক্ষিণ চীন সাগরে পারাসেল নামক একটি দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে পৌঁছুনর পর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে চীনে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে আমেরিকান যুদ্ধজাহাজ বিনা অনুমতিতে চীনের সমুদ্র-সীমায় ঢুকে তাদের 'সার্বভৌমত্ব' ক্ষুণ্ণ করেছে এবং স্পষ্টতই চীনকে 'উস্কানি' দিচ্ছে।
চীন দাবি করে প্যারাসেল দ্বীপটি তাদের, যদিও ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানও দ্বীপটির মালিকানা দাবি করে।
চীন জানিয়েছে, মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ দুটিকে দ্রুত চলে যেতে বলার জন্য যুদ্ধ জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বার্তা সংস্থা রয়টরসের কাছে নিশ্চিত করেছে তাদের দুটো জাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বিতর্কিত দ্বীপের কাছে কাছে গেছে।
১২ মে স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি থেকে দেখা যায় এই দ্বীপেই চীনা বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং জাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। তারপরই হাওয়াই দ্বীপের একটি যৌথ সামরিক মহড়া থেকে চীনকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা।
এরপর রোববার দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজের তৎপরতার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তৎপরতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বহু দিন ধরে নাখোশ।
চীন বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সাগরে তাদের প্রভাব বিস্তারে নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাগরের মাছে বিভিন্ন ডুবো চরে বেশ কিছু কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সামরিক স্থাপনা তৈরি করেছে।
কিন্তু আমেরিকা চীনের এই সার্বভৌমত্বের দাবি মানে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা