১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

‘ইরানের উপকূলজুড়ে বহু ভূগর্ভস্থ ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র শহর’

- প্রতীকী ছবি

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র নৌ ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরি বলেছেন, আমরা সাগর উপকূলে ভূগর্ভে বহু ক্ষেপণাস্ত্র শহর নির্মাণ করেছি। এসব ভূগর্ভস্থ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সব ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

ইরানের 'সুবহে সাদেক' সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

তাংসিরি আরো বলেন, আমাদের শত্রুরাও এটা ভালো করেই জানে পারস্য উপসাগর ও মোকরান উপকূল জুড়েই রয়েছে আইআরজিসি ও সেনাবাহিনীর ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র শহর। এছাড়া পারস্য উপসাগর এবং ওমান সাগরের সর্বত্রই আমাদের উপস্থিতি রয়েছে। এমন স্থানেও আমাদের উপস্থিতি যেসব জায়গার কথা শত্রুরা কল্পনাও করতে পারে না। তাদের জন্য অকল্পনীয় স্থানেও আমরা শত্রুদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিতে পারি।

তাংসিরি আরো বলেছেন, সাগর রক্ষার জন্যও স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বা বাসিজের ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এই স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর নৌ ইউনিটের অধীনে রয়েছে ২৩ হাজার সদস্য।

আইআরজিসি'র এই কমান্ডার বলেন, আমাদের পুরো উপকূলকেই ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত করা হয়েছে। ভূগর্ভস্থ শহরগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। এগুলো কোনো স্লোগান নয়, এটা বাস্তবতা।

পারস্য উপসাগরের ওপর নিজেদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে রিয়ার অ্যাডমিরাল তাংসিরি বলেন, হরমুজ প্রণালীতে যখনি কোনো নৌযান প্রবেশ করে তখন থেকে সেটা আমাদের পর্যবেক্ষণে চলে আসে। সেখান থেকে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত ওই নৌযানের সব ধরণের তৎপরতা আমরা নজরদারি করি। আমরা জানি ওই যানটি ঠিক কোথায় অবস্থান করছে এবং কী করছে। এসব নৌযান ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে এবং ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা অনেক।

তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে আরো বেশি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং নৌযানের খবর আসছে। এমন সব নৌযান আসছে যা শত্রুদেরকে বিস্মিত করবে। পার্সটুডে


আরো সংবাদ



premium cement