২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গাজায় ফিলিস্তিনি শিশুদের স্বপ্ন কুঁড়িতেই ঝরে পড়ছে...

গাজায় রাস্তার ধারে প্লাস্টিকে তৈরি ঘরটার সামনে বসে আছে ভবিষ্যত অনিশ্চিত এক শিশু - মিডলইস্ট মনিটর

বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে সানার স্বামী বলেছিলেন, এক সপ্তাহের জন্য মিসর যাচ্ছেন। এরপর ১১ বছর কেটে গেছে। আর ফিরে আসেননি। তখন সানার বয়স ছিল ২৮ বছর। ওই সময়টায় আট সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে, তা কেবল গাজায় বসবাসকারী এই ফিলিস্তিনি মা-ই বলতে পারবেন।

'প্রথম আমি ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করি। স্বামী চলে যাওয়ার পর আমি তার বেতনের একটা অংশ পেতাম। কিন্তু যখন এই খবর চাউর হলো যে, আমার স্বামী গাজার বাইরে আছেন, তখন সেই অর্থ দেয়া বন্ধ হয়ে গেলো। পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে গেলো। বুঝতে পারলাম, আমাকে একটা চাকুরী খুঁজতে হবে। তখন আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বয়স্ক লোকদের দেখাশোনার কাজ করতে লাগলাম। ওই সময়টায় আমি তাদের ডায়াপার পর্যন্ত বদলে দিয়েছি। খুবই কঠিন সময় কাটিয়েছি। মাঝে মাঝে মনে হতো ছেড়ে দেই এই কাজ।' এভাবেই কষ্টের স্মৃতিগুলো এক নি:শ্বাসে আওড়ালেন ৩৯ বছর বয়সী সানা।

সন্তানদের মুখের দিকে সব কষ্ট সহ্য করেছেন তিনি। কিন্তু সময় যতই গড়িয়েছে চাহিদা ততই বেড়েছে। একা তার পক্ষে আর সন্তানদের খাবার এবং পড়াশোনার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছিলো না। তখন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলো তাকে। সন্তানদের বললেন, বেঁচে থাকতে হলে তোমাদের এখন নিজের খাবার নিজেকেই যোগাড় করেত হবে। পড়াশোনা ছেড়ে কোথাও নিরাপদ একটি কাজ খুঁজে নাও।

সানার মতো এই অতিবাস্তব সিদ্ধান্তের কারণে অনেক ফিলিস্তিনি শিশুর স্বপ্ন কুঁড়িতে ঝরে পড়ছে। তাদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন আর বাস্তবে রুপ নেয় না। সংসারের বোঝা তুলতে হয় নরম তুলতুলে কাঁধে।

ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে গাজার ২৯.৪ শতাংশ নারীকে বাধ্য হয়ে কায়িক শ্রম দিতে হয়েছে। আর এই সময়টায় ৭৪.৬ শতাংশ নারী বেকার ছিলেন।

এর মধ্যে ১৫ বছরের শিশু থেকে ২৯ বছরের নারীদের সংখ্যাই বেশি। এদের মধ্যে ৮৮.১ শতাংশই বেকার।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ এবং কর্মসংস্থান সংস্থা (ইউএনআর ডব্লিউএ) এর সমীক্ষায় দেখা গেছে, গাজার অর্ধেকের বেশি পরিবারের মায়েরা বাধ্য হয়ে সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ করে কাজে পাঠিয়েছেন।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বোঝা যায়, ফিলিস্তিনি নারীরা কতটা সংগ্রাম করে প্রতিটি দিন কাটাচ্ছেন। ১২ বছর ধরে ইসরাইলের দখলে থাকা গাজা উপত্যকায় বসবাসকারীদের ওপর মে থেকে আগস্ট - দুই মাস এই সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে উঠে আসে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর এই করুণ চিত্র।

সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর


আরো সংবাদ



premium cement
চীনা কোম্পানি বেপজা অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মৃত মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো নতুন প্রাণ দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ মারা যায়নি : পুলিশ সুপার হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা?

সকল