২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আবারো রুশ-চীনা অস্ত্র কিনবে ইরান, আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের

- সংগৃহীত

ইরানকে নিয়ে নতুন আশঙ্কার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের ওপর জাতিসঙ্ঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২০২০ সালে শেষ হতে চলেছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে ইরান অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্রশস্ত্র কিনবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরমাণু চুক্তির আওতায় ২০১৫ সালে ইরানের ওপর পাঁচ বছরের এ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসঙ্ঘ। গত মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার নতুন এক রিপোর্টের বরাত দিয়ে ঊর্ধ্বতন এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।

ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের অক্টোবরে জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে তেহরান উন্নত প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করতে পারে। এর মাধ্যমে নিজের সামরিক বাহিনীর আরো আধুনিকায়ন করবে দেশটি। পেন্টাগনের এ রিপোর্টের শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘ইরান মিলিটারি পাওয়ার’। এতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ইরান উন্নত যুদ্ধবিমানের মতো যেসব অগ্রসর প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম দেশীয়ভাবে উৎপাদনে সক্ষম নয় সেগুলো আমদানির দিকে ঝুঁকবে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এরই মধ্যে রাশিয়া ও চীন থেকে সামরিক হার্ডওয়্যার কেনার বিষয়টি পর্যালোচনা শুরু করেছে তেহরান। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনারও আগ্রহ দেখিয়েছে ইরান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা বিভাগের ওই কর্মকর্তা জানান, জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে ইরান সম্ভবত রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক জঙ্গিবিমান ও ট্যাংক কিনবে।

তবে জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলেও ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বর্তমানে ইরানের সামরিক শক্তিমত্তার প্রসঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার ওই রিপোর্টে বলা হয়, ইরান এখন পর্যন্ত ১৯৭০ দশকের সোভিয়েত ট্যাংক ও পুরনো যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। তবে অন্য অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের চেয়ে প্রযুক্তিগত দিক থেকে কম উন্নত হওয়া সত্ত্বেও গত কয়েক যুগে সামরিক দিক থেকে নানাভাবে বেশ উন্নত হয়েছে দেশটি। ড্রোন, মিসাইলসহ বিভিন্ন অস্ত্র তৈরিতে দ্রুত উন্নতি করছে তারা। এ ছাড়া বর্তমানে তেহরান মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারে বদ্ধপরিকর। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি ইরান মার্কিন সেনাদল ও উপসাগরের জাহাজগুলোর ওপর নজর রাখতে বিশেষ ড্রোন ব্যবহার করে। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশে হামলার লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহের জন্য সাইবারস্পেস সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে তেহরান।

পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ইরানের সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেই প্রকাশিত এ রিপোর্টে আরো বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে প্রবল অর্থনৈতিক চাপে আছে ইরান। ফলে এ বছর সামরিক খাতে তাদের বাজেট কিছুটা কম ছিল। পরবর্তীতে তা আরো কমতে পারে। বেকারত্ব বাড়ায় এবং সঞ্চয় ও রিয়ালের (ইরানি মুদ্রা) মান কমায় বিভিন্ন সময় ইরানের জনগণকে বিক্ষোভ করতে দেখা যাচ্ছে। দেশটিতে এ মুহূর্তেও বিক্ষোভ চলছে। সব মিলিয়ে বাজেট সঙ্কটের কারণে সামরিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে তেহরানকে বেগ পেতে হবে। এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন বেসরকারি করপোরেশনের অর্থ ছাড়াও ইরান অবৈধভাবে সংগ্রহ করা অর্থ ব্যয় করে বলে দাবি করা হয় মার্কিন ওই রিপোর্টে। সূত্র : আনাদোলু।


আরো সংবাদ



premium cement
সীমান্তে বাংলাদেশীদের মৃত্যু কমেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনে উদ্বেগ টিআইবির যখন দলকে আর সহযোগিতা করতে পারবো না তখন অবসরে যাবো : মেসি ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের আটকের পর নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ইউপি চেয়ারম্যানকে বদর যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন পণবন্দী জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝালকাঠিতে নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে মিলল ভ্যানচালকের লাশ বাল্টিমোর সেতু ভেঙে নদীতে পড়া ট্রাক থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার

সকল