উত্তেজনার মধ্যেই সৌদি আরবে পম্পেও
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৪ জুন ২০১৯, ২০:০৯
চলমান তেহরান-ওয়াশিংটন উত্তেজনার মুখে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের প্রথম দিনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সৌদি আরব পৌঁছে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। সৌদি বাদশাহ ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা নিরসনে সমন্বয় করার চেষ্টা করছেন।
পরে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে পম্পেওর সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এরপর তিনি একই ইস্যুতে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবেন।
ইরান সংকট নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। রোববার এক বিবৃতিতে পম্পেও জানিয়েছেন, ইরানে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার বিষয়টি নিয়ে তিনি সৌদি আরব ও আমিরাতের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
পম্পেও বলেন, আমরা কৌশলগত বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলব। কিভাবে ইরানের বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক জোট তৈরি করা যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করব আমরা।
পম্পেও জানিয়েছেন, সৌদি ও আমিরাতের সফরের মধ্যে তিনি ভারতে যাত্রা বিরতি করবেন।
এদিকে রোববার যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের পূর্বে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মাইক পম্পেও আবারও ইরানকে শর্ত ছাড়া আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। পম্পেও বলেন, ইরান জানে আমাদের কোথায় পাওয়া যাবে। তাই তাদের উচিত হবে কোনো শর্ত ছাড়া আলোচনায় বসা। ইরানের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সৌদি আরব ও আরব আমিরাতকে মহান বন্ধু বলে উল্লেখ করেন পম্পেও।
এ নিয়ে গত কয়েক মাসে অসংখ্যবার ইরানের সাথে আলোচনায় বসতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহবান জানান। তবে এমন সময় তিনি এ আলোচনায় বসার তাগিদ দিচ্ছেন, যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
গত বছর পরমাণু সমঝোতা চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে তেহরানকে নিষেধাজ্ঞার জালে আটকে রাখার চেষ্টা করে ওয়াশিংটন। কিন্তু সে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়। সে সময় থেকে পেন্টাগনের প্রতি কোনোভাবেই বিশ্বাস রাখতে চায় না তেহরান।
গত বৃহস্পতিবার ইরান মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করলে উত্তেজনা আরো বাড়ে। প্রতিক্রিয়ায় ইরানে হামলার নির্দেশ দিয়েও পিছু হটেন ট্রাম্প। ইরানের পক্ষ থেকে ডোনের পাশাপাশি ৩৫ যাত্রীবাহী একটি মার্কিন বিমানও ভূপাতিত করার সক্ষমতার কথা জানালে সুর পাল্টে যায় ট্রাম্পের। শুক্রবার ইরানকে ধন্যবাদ দিয়ে আলোচনায় বসার আহবান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইরানের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের এমন আহবানকে রীতিমত হাস্যকর হিসেবে উল্লেখ করে তেহরান।
গত ১৩ জুন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ইরানের প্রধানমন্ত্রী আয়াতুল্লা খোমিনীর সাথে সাক্ষাত করতে গেলে খোমিনী বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করে না। পরমাণু আলোচনায় বসে যে তিক্ত অভিজ্ঞতা তেহরানের হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি করতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, ইরানের রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রে সাইবার হামলার কথা জানিয়েছে পেন্টাগন। তেহরানের পক্ষ থেকেও মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রে সাইবার হামলার কথা দাবি করা হয়। তার একদিনের মাথায় পম্পেও এমন আলোচনার দাবি জানালেন। তবে আপাতত আলোচনার কোনো সম্ভাবনাই দেখছেন না আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। আলজাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা