বিক্ষোভের আশঙ্কায় মুরসির গ্রাম ঘিরে রেখেছে মিসরের সেনাবাহিনী

মিসরের সেনাবাহিনী দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির নিজ গ্রাম ও জন্মস্থানে হানা দিয়ে ঘিরে রেখেছে বলে জানিয়েছে কাতার-ভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল-জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি শনিবার রাতে এক খবরে জানায়, মিসরের সেনাবাহিনী দেশটির আল-এদওয়াহ গ্রামে হানা দিয়ে সেখানকার বহু মানুষকে আটক করেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুরসি আল-এদওয়াহ গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

এদিকে মিসরের সামরিক বাহিনী এখনো ওই গ্রাম অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। আদালতে শুনানিকালে সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার গ্রামের লোকজন যাতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ করতে না পারে সেজন্য মিসরের সেনাবাহিনী এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুরসি গত সোমবার রাজধানী কায়রোর একটি আদালতের এজলাসে শুনানির সময় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান। তার মৃত্যুর পর মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে।

মিসরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি ২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে কারাবন্দি করেন। তখন থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কারাগারে বন্দি ছিলেন মুরসি।

মিসরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুরসিকে গত ছয় বছরের বেশিরভাগ সময় কারাগারের নির্জন সেলে বন্দি রাখা হয়। এছাড়া, তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়নি বলে তার পরিবার ও আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি মুরসি নিজে আদালতে এর আগের শুনানির দিন বলেছিলেন, চিকিৎসার অভাবে তার শরীরের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে এবং তার জীবন হুমকির মুখে। কিন্তু সিসি’র সাজানো আদালতের পক্ষ থেকে তার এ কথাকে আমলে নেয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেই আদালতের এজলাসে বিচারকের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মুরসি। সূত্র : পার্সটুডে।