২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটে বাড়ছে তেলের দাম

- ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ববাজারে নতুন করে তেলের দাম বেড়েছে। শুক্রবার লন্ডনে প্রতি ব্যারেল তেল বিক্রি হয়েছে ৭৩ ডলারে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল সরবরাহে বিঘœ এবং ইরান ও আমেরিকার মধ্যকার উত্তেজনার ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

ইরানের ওপর মার্কিন একতরফা নিষেধাজ্ঞার কারণে ওপেকের তেলের উৎপাদন কমে গেছে। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে একাধিক উত্তেজনাকর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার সামরিক আগ্রাসনের হুমকি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজায়রা বন্দরে চারটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের মতো ঘটনা। এসব ঘটনার প্রভাবে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ ছাড়া পারস্য উপসাগরে মার্কিন বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ও বি-৫২ বোমারু বিমান পাঠানোর ঘটনায় আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন চীন সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। চীনের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন দিয়াওটাইতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ইরানের প্রধান রফতানি তেলের অন্যতম প্রধান ক্রেতা চীন। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যাওয়ার পর তেহরানের জন্য বিশ্ববাজার উন্মুক্ত রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার বর্ষপূর্তির দিনে চুক্তি থেকে আংশিক সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেয় তেহরান। এর পরই ইরানের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে উপসাগরীয় এলাকায় বিমানবাহী রণতরী ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ যুদ্ধসরঞ্জাম মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের হুমকি মোকাবেলায় ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নেয়ার কথা বললেও তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ শুরুর অভিযোগ এনেছে।

চীন সফরের আগে বৃহস্পতিবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কানোর সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে পাশ্চাত্যের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে আমেরিকা বের হয়ে যাওয়ার পর তেহরান সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম দেখিয়েছে। ইরান এখনো পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতিসঙ্ঘের এ-সংক্রান্ত রিপোর্টই তার প্রামাণ্য দলিল।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জুনে তেহরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে ৬ জাতিগোষ্ঠী চুক্তি স্বাক্ষর করে। ভিয়েনায় জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্যরাষ্ট্র (পি-ফাইভ) যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানি (ওয়ান) চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয় তারা। পূর্বসূরি ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে গত বছরের মে মাসে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর নভেম্বরে তেহরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়। অন্য দিকে ইউরোপীয় দেশগুলো এ সমঝোতা বাস্তবায়নের কথা মুখে বললেও কার্যত তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করে আসছে ইরান।


আরো সংবাদ



premium cement
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মারামারি, মাঠ ছেড়ে উঠে গেল সাদা-কালোরা কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল