১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মধ্যপ্রাচ্যে আবার যুদ্ধের দামামা, যাচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন সৈন্য

মধ্যপ্রাচ্যে আবার যুদ্ধের ধামামা, যাচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন সৈন্য - এএফপি

তাহলে কি শিগগিরই নতুন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা পাবে মধ্যপ্রাচ্যবাসী। অবস্থা দেখে সেরকমটাই মনে হচ্ছে। ইরানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই হোয়াইট হাউস মধ্যপ্রাচ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন সৈন্য মোতায়েনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

ইরাক যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে ইরানের সম্ভাব্য হামলার জবাব দিতেই এত সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করা হচ্ছে বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল।

নিউইয়র্ক টাইমস খবর দিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ নিরাপত্তা বৈঠকে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

সেখানে একাধিক পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। যার মধ্যে এক মাসের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ১ লাখ ২০ হাজার সৈন্য মোতায়েনের কথা রয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে ইরাকে মোতায়েন সৈন্যদের তুলে নিয়ে নতুন করে গালফ অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে।

তবে এই পরিকল্পনাকে এখনই ইরানের বিরুদ্ধে স্থল আক্রমণের সম্ভাবনা বলছে না নিউইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটির মতে, স্থল হামলার জন্য আরও সৈন্য লাগবে।

গতকাল সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, মার্কিন স্বার্থে আঘাত লাগলে ইরানকে ‘ভয়াবহ দুর্দশা’ ভোগ করতে হবে।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছি, ইরান কি করে। যদি তারা কিছু করেই বসে, তা হবে খুবই বাজে ভুল।’

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে করা পশ্চিমা দেশগুলোর পরমাণু চুক্তি থেকে ট্রাম্প বেরিয়ে যান। একই সঙ্গে তিনি দেশটির ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেন। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তেহরানের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।

ট্রাম্প চান, তেহরান তাদের অস্ত্রের লাগাম টেনে ধরুক। এ লক্ষ্য নিয়েই সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র গালফ অঞ্চলে বি-৫২ বোমারু বিমান পাঠিয়েছে। এরপরই ইরান এটিকে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ দাবি করে ওয়াশিংটনকে সাবধান করে দিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র হাজারো যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত করলেও, তা ধ্বংসে ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্রই যথেষ্ট।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, বৃহস্পতিবারের ওই বৈঠকে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, সিআইএ পরিচালক গিনা হ্যাসপেল, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক ড্যান কোটস এবং চেয়ারম্যান অব দ্য জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল জোসেপ ডানফোর্ড উপস্থিত ছিলেন।

গত রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুরাইরাহ বন্দরে সৌদি আরবের তেলবাহী জাহাজে ইরান হামলা করেছে বলে অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বন্দরের ওপর দিয়ে ফরাসী ও মার্কিন যুদ্ধবিমান উড়ে যাওয়ার পরপরই বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়।

ওই বিস্ফোরণে প্রত্যেকটি জাহাজের ৫ থেকে ১০ ফিট গর্ত তৈরি হয়। সৌদি আরব দাবি করেছে, তেলের জাহাজে হামলা স্যাবোটাজ।

ওই হামলায় সৌদি আরবের দুটি তেলের ট্যাংকার, নরওয়ের পতাকাবাহী জাহাজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহর ট্যাংকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

হামলার দিনেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘ইরান মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান অস্থিতিশীল শক্তি।’ এ হামলাকে ব্রিটেন গালফ অঞ্চলে যুদ্ধ শুরুর সতর্কা হিসেবে বর্ণনা করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement