২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ফিলিস্তিনে ইব্রাহিম (আ.) মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল

ইব্রাহিম (আ.) মসজিদ - ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের আল-খলিল শহরের ইব্রাহিম (আ.) মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এ মসজিদেই হযরত ইব্রাহিম (আ.), হযরত ইসহাক (আ.), হযরত ইয়াকুব (আ.) ও হযরত ইউসুফ (আ.)-এর কবর থাকায় মসজিদটি মুসলমানদের কাছে খুবই সম্মানিত একটি স্থাপনা।

লন্ডনভিত্তিক সংস্থা দ্য মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব প্যাসোভা উপলক্ষে মসজিদটি বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছে ইসরাইল। বর্তমানে সে এলাকায় শত শত ইসরাইলি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ইব্রাহিম (আ.)-এর কবর ও মসজিদের পরিচালক হাফেজ আবু সেনেইনেহ জানান, ইসরাইল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ইব্রাহিম মসজিদ বন্ধ থাকবে।

তিনি আরো বলেন, মসজিদ বন্ধের ঘোষণা ধর্মীয় অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরাইল এর মাধ্যমে সব ধরনের রীতি-নীতি ও আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

১৯৯৪ সালের পবিত্র রমজান মাসে এক চরমপন্থী ইহুদি হযরত ইব্রাহিম (আ.) মসজিদে হামলা চালিয়ে ২৯ জন মুসলমানকে হত্যা করে। আহত হয় আরো ১৫০ জন মুসল্লি।

ইব্রাহিম (আ.)-এর কবর থাকায় উভয় ধর্মের লোকের কাছেই এটি খুবই পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত। কিন্তু ১৯৯৪ সালের ওই হামলার পর সঙ্ঘাত এড়াতে স্থানটি উভয় ধর্মের লোকজনের মধ্যে বিভক্ত করে দেয়া হয়। তবে ইহুদিদের উৎসবের সময় ইব্রাহিম মসজিদটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

আরো পড়ুন : ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মসজিদকে নাইট ক্লাব বানাল ইসরাইল
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৫১

ইসরাইল ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক একটি মসজিদকে নাইট ক্লাব ও বারে পরিণত করেছে। উত্তর ফিলিস্তিনে অবস্থিত ত্রয়োদশ শতাব্দীর ওই মসজিদটির নাম আল-আহরাম। ইসরাইলের সাফেদ নগর কতৃপক্ষ এই ঐতিহাসিক আল-আহমার মসজিদকে নাইট ক্লাব ও বারের পাশাপাশি ও ইভেন্ট ভেন্যুতে রূপান্তর করেছে। আল-কুদুস আল-আরাবি পত্রিকা বরাতে এমনটিই জানিয়েছে মিডলইস্ট মনিটর।

ঐতিহাসিক এই মসজিদটি ১৯৪৮ সালে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে দখল করে নেয়। প্রথমত তারা এখানে ইহুদি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। এরপর লিকুদ পার্টির নির্বাচনী ক্যাম্প ও পরবর্তীতে কাপড়ের গোদাম হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। সর্বশেষ তারা এটিকে নাইট ক্লাবে রূপান্তর করে।

গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, মসজিদটিকে একটি বারে পরিণত করা হয়েছে। এছাড়াও এটাকে একটি হল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেখানে বিয়ে বা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে। তারা মসজিদটির নাম আল-আহমার পরিবর্তন করে খান আল-আহমার নামকরণ করে।

সাফেদ ও তিবেরিয়াস ইসলামিক বৃত্তিপ্রদান সংস্থার সচিব খায়ের তাবারি বলেন, আমরা নেজারেত কোর্টে এর বিরুদ্ধে আবেদন করেছি এবং কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছি।

তিনি আরো জানান, মসজিদের মালিকানার সব কাগজপত্র প্রমাণ স্বরূপ উপস্থাপন করা হয়েছে।

১৯৪৮ সালে ইসরাইলের দখলের আগে এখানে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি বসবাস করত।

তাবারি জানান, ঐতিহাসিক এই মসজিদটি এখন ছাড়া অন্য যেকোন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement