২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তেলের বাজার টালমাটাল, সৌদি আরবকে নিয়ে শঙ্কা!

তেলের বাজার টালমাটাল - সংগৃহীত

এক দিকে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ। অন্য দিকে ব্রেক্সিট ঘিরে আশঙ্কা। এই জোড়া শঙ্কায় সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ধাক্কা খেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন অর্থনীতিবিদদের বড় অংশ। ফলে কমতে পারে চাহিদা। কিন্তু এরই বিপরীতে, গত ডিসেম্বর থেকে অশোধিত তেলের উৎপাদন দৈনিক ১২ লাখ ব্যারেল করে ছাঁটাই করে চলেছে তেল রফতানিকারীদের সংগঠন ওপেক গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগী দেশগুলো। সঙ্গে রয়েছে ইরান ও ভেনেজুয়েলার মতো তেল রফতানিকারী দেশগুলির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাও। ফলে চাহিদা ও জোগানের এই টানাটানির উপরেই দীর্ঘ মেয়াদে তেলের দাম নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওপেক এবং আমেরিকা এ রকমই অনমনীয় থাকলে বছরের মাঝামাঝি সময়ে তেলের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। অন্তত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত অশোধিত তেলের দামের গতিপ্রকৃতি দেখে তেমনই মনে করা হচ্ছে। ওই সময়ের মধ্যে ব্রেন্ট ক্রুড এবং আমেরিকার অশোধিত তেল, দু’য়েরই দাম বেড়েছে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থ দফতরের অন্যতম আন্ডার সেক্রেটারি সাইগাল মান্ডেলকার জানিয়েছেন, ইরানের উপরে আমেরিকা আরও চাপ বাড়াবে। কারণ, এখনও নানা কৌশলে বিভিন্ন দেশে জাহাজে করে তেল পাঠাচ্ছে তারা। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে যাতে তেলের দাম না কমে তার জন্য সৌদি আরবের নেতৃত্বে অনেক দিন ধরেই মরিয়া ওপেক গোষ্ঠীও। ডিসেম্বর থেকে তেলের উৎপাদন ছাঁটাই করে চলেছে তারা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল তাদের। কিন্তু তা বাতিল করে জুন পর্যন্ত সেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই মাসের ২৫ ও ২৬ তারিখ ভিয়েনায় বৈঠক হতে পারে।

ওপেক সূত্রের খবর, রাশিয়া সেপ্টেম্বরের পর আর উৎপাদন ছাঁটাই করতে না চাইলেও সৌদি অনড়।

সৌদি তেলেই আশঙ্কা
ইরান ও ভেনেজুয়েলার মতো তেল উৎপাদনকারী দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। পাশাপাশি, এই নিষেধাজ্ঞার জেরে যাতে বিশ্ব বাজারে তেলের জোগানে টান না পড়ে তার জন্য ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোকে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাতেও অবশ্য তেলের রফতানি কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসছে না ওপেকের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব। এর ফলে বিশ্ব বাজারের পাশাপাশি তেলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা উপেক্ষা করা যাচ্ছে না।

সৌদি প্রশাসন সূত্রের খবর, সরকারি লগ্নি বাড়িয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাইছে তারা। তাই তারা চাইছে এ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি অশোধিত তেলের দাম অন্তত ৭০ ডলারে পৌঁছক। সেই লক্ষ্যে দৈনিক তেল উৎপাদন ১ কোটি ব্যারেলের নিচে নামাতে চায় সৌদি। জোগান কমলে চাহিদার চাপে বাড়বে জ্বালানির দাম। সৌদি তেলের জোগান কমলে মার্কিন তেলের বাজার কিছুটা বাড়বে বটে, কিন্তু তার তোয়াক্কা করছে না রিয়াদ।

জোগানের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য এপ্রিলে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল ওপেকের। সেই বৈঠক বাতিল হয়েছে। সূত্রের খবর, জুনের পরও উৎপাদন বাড়ানোর কথা ভাবছে না সৌদি।


আরো সংবাদ



premium cement
ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শিহাব কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ সাতক্ষীরা বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলআরোহী নিহত বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি চতুর্থ দফা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি : এবারের তাপদাহ শেষেই বৃষ্টিপাতের আশা ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজে হাজারো মুসুল্লির কান্না পোরশার নোচনাহারে আগুনে ৩টি দোকান পুড়ে গেছে খুলনা বিভাগ ও ৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ ‘১ টাকার কাজ ১০০ টাকায়, ৯৯ যায় মুজিব কোটে’ রাত পোহাতেই রুদ্ধদ্বার অনুশীলন শুরু বাংলাদেশের সাটুরিয়ায় প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইসতিসকা আদায়

সকল