২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্বাচনের পর পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করা হবে : নেতানিয়াহু

ইসরাইল
পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করা হবে : নেতানিয়াহু - ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার দেশটির আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করার অঙ্গীকার করেছেন।

আগামী ৯ এপ্রিল নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তার এ মন্তব্যকে ডানপন্থী ভোটারদের কাছে ভোটের আবেদন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এরা ফিলিস্তিনের সাথে কোনো ধরনের শান্তিচুক্তিতে বিশ্বাসী নয়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

চ্যানেল ১২ টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমি ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত করব। তবে আমি বিচ্ছিন্ন ও সংযোজিত বসতিগুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না।’

১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর দখলকৃত এলাকাগুলোতে ইসরাইল বসতিগুলো স্থাপন করে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বসতিগুলোর বৈধতা স্বীকার করে না। এই এলাকাগুলোতে তাদের চলমান নতুন নতুন বসতি নির্মাণকে শান্তির পথে বড় ধরনের বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নেতানিয়াহুর অঙ্গীকার অনুযায়ী পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করা হলে দুই রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়ার ইতি ঘটতে পারে।
শুক্রবার নেতানিয়াহুর সাক্ষাতকারটি সম্প্রচারিত হয়।

তিনি আমেরিকান ভবিষ্যত শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কোনো বসতি বা জনগণকে উচ্ছেদ করবেন না বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানিয়েছেন।

নেতানিয়াহু চ্যানেল ১৩ টেলিভিশনকে বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি যে, অধিকৃত পশ্চিমতীর থেকে একটি বসতিও উচ্ছেদ করা উচিত না।’

ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের অংশ হিসেবে দখলকৃত পশ্চিম তীরের বসতিগুলোতে ৪ লাখের বেশি ইসরাইলি বাস করে। এখানে ফিলিস্তিনী বাস করে ২৫ লাখেরও বেশি।

এছাড়াও জেরুসালেমের পূর্বে দখলকৃত বসতিগুলোতে আরো দুই লাখ ইসরাইলি বাস করে। এই এলাকাটিতে ইসরাইল ইতোমধ্যেই তার সম্পূর্ণ সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।

আরো পড়ুন :
সব মুসলমান চলে না যাওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের শান্তি নেই : নেতানিয়াহু পুত্র
ডেইলি সাবাহ, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮
ইসরাইলের শান্তির জন্য দেশটিতে বসবাসকারী অবশিষ্ট মুসলমানদের ইহুদি দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বড় ছেলে ইয়ার ফেসবুকে এ কথা বলেছে। ‘সব ইহুদি বা সব মুসলিম ইসরাইল ভূখণ্ড ত্যাগ না করা পর্যন্ত এখানে শান্তি আসবে না। তবে আমি দ্বিতীয় অপশনটি বেছে নেবো।’ বৃহস্পতিবার একটি ফেসবুক পোস্টে এসব কথা লিখেছে ইয়ার।

তার বক্তব্যের সমালোচনায় নেতানিয়াহু এর দ্বিগুণ বর্ণবাদী আক্রমণ চালিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘বসতি স্থাপনকারীদের অপসারণ এবং ইহুদিমুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা বছরের পর বছর আহ্বান জানিয়ে আসছে, এমন লোকেরা কেন এ পোস্টে মর্মাহত হয়েছেন?’ ফেসবুক নেতানিয়াহুর ছেলের মুসলিমবিরোধী এ পোস্টটি মুছে দিয়েছে, তবে নেতানিয়াহু রোববার মূল পোস্টের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে এই সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে ‘পুলিশি চিন্তা’ হিসেবে সমালোচনা করেন।

তার পর কমিউনিটি নির্দেশিকা লঙ্ঘনের কারণে ২৪ ঘণ্টার জন্য নেতানিয়াহুর ফেসবুক আইডিকে ব্লক করেছিল ফেসবুক। ইয়ার এর আগে কেলেঙ্কারি করেছিল মে মাসে। যখন তিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ছবি দেখিয়েছিলেন যে ছবিটিতে তুরস্কের পতাকার ওপরে লেখাছিল ‘এফ ... তুরস্ক’; অর্ধচন্দ্র ও তারকা দিয়ে তৈরি শব্দটিতে এফ-এর মধ্যে ‘সি’ ব্যবহার করেছিল। জানুয়ারিতে ইসরাইলের মিডিয়া রেকর্ডিংগুলো প্রকাশ করেছিল, যাতে দেখা যায় ইয়ার তার ধনাঢ্য বন্ধুদের সাথে আনন্দে মেতে থেকে তেল আবিবের স্ট্রিপ ক্লাবে বলেছিলেন, কিভাবে তার বাবা অবৈধ সুবিধার বিনিময়ে বিতর্কিত গ্যাস বিল পাস করিয়েছিলেন।

নেতানিয়াহু পরিবারে ইয়ারই কেবল এমন কেলেঙ্কারিতে যুক্ত নয়। তার বাবা ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন ও তার মা সারাকে ঘুষের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। ইসরাইলি পুলিশ বলেছে, নেতানিয়াহু ও সারার ঘুষ গ্রহণ, প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতায় দোষী সাব্যস্ত করার যথেষ্ট প্রমাণ ছিল। দেশটির টেলিকম সেক্টরের শক্তিশালীদের সাথে তারা এসব দুর্নীতিতে জড়িত বলে মনে করে পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement