২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘বিপর্যয়ের মুখে গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা’

আহত এক ফিলিস্তিনি শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে - ফাইল ছবি

ইসরাইলের সামরিক কর্মকর্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে বিপর্যয়ের মুখে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বুধবার ইসরাইলের দৈনিক হারেৎজ পত্রিকায় প্রকাশিত এক খবরে এই কথা বলা হয়।

ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রনালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, ফিলিস্তিনি ভূখন্ডের ক্রমেই অবনতি হতে থাকা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে গাজা ভূখন্ডে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ করা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জন্য কঠিন হয়ে যেতে পারে।

প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মূল্যায়নে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আরো বলা হয়, গাজায় এই ধরণের পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকলে সেখানে অভিযান চালানোর ব্যাপারে আর্ন্তজাতিক সাহায্য পাওয়া ইসরাইলের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। তার উপর গাজায় ইসরাইলের অভিযানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া কর্মকর্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন যে, ইসরাইলি অভিযানে আহত বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা প্রাথমিক চিকিৎসাও লাভ করতে সক্ষম হবেন না।

হারেৎজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি আন্তর্জাতিক মেডিকেল এজেন্সির মাধ্যমে গাজার বর্তমান স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে রিপোর্ট পেয়েছে ইসরাইল। রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত গাজার প্রায় ৬ হাজার আহত ফিলিস্তিনি জরুরী চিকিৎসা বা অপারেশনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এদের মধ্যে অনেকে আবার গুলিতে আহত ব্যক্তিও রয়েছেন।

রিপোর্টে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়,‘গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের অধিকাংশই যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না এবং এর ফলে তাদের এক-তৃতীয়াংশেরই হাড় ইনফেকশন বা সংক্রমন সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া হাড়ে সংক্রমনের শিকার এসব মানুষকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হলে তাদের শরীরের সংক্রমিত অঙ্গ বা হাড় কেটে ফেলতে হবে।’

রিপোর্টে আরো বলা হয়,‘গাজায় ডাক্তার সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই বললেই চলে। কারণ অন্য দেশে কাজ পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন, এমন ডাক্তার ভূখন্ড ছেড়ে অভিবাসী হয়েছেন।’


আরো সংবাদ



premium cement